দাবিতে অনড় কৃষকরা, মেলেনি রফা সূত্র, ফের সরকারের সঙ্গে বৈঠক ৩ ডিসেম্বর
কোনও দিকেই মেলেনি রফা সূত্র। কৃষিবিল প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় কৃষকরা। সমাধান সূত্রের খোঁজে ফের ৩ ডিসেম্বর ফের কৃষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছে কেন্দ্র। কৃষি আইন প্রত্যাহার না হলে কিছুতেই তাঁরা আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন না বলে জানিয়েছেন। এই নিয়ে দর কষাকষি জারি রয়েছে। শেষে ফের ৩ ডিসেম্বর আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন বিক্ষুব্ধ কৃষকরা।

অধরা রফাসূত্র
কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় কৃষকরা। কিছুতেই এই নিয়ে কোনও আপোসে যেতে চাইছেন না তাঁরা। মঙ্গলবার এই নিয়ে দফায় দফায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা চলে। কিন্তু কোনও প্রস্তাবেই রাজি হননি তাঁরা। কৃষি আইন ফেরানোর দাবিতে অনড় রয়েছেন তাঁরা। কেন্দ্র কোনও ভাবেই কৃষকদের প্রস্তাব মেনে নিতে রাজি হচ্ছেন। সমাধান সূত্রের খোঁজ চালাচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু কিছুতেই বিক্ষব্ধ কৃষকরা আইন প্রত্যাহার ছাড়া কোনও প্রস্তাব মেনে নিতে চাইছেন না।

কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক
মঙ্গলবার বিক্ষুব্ধ কৃষকদের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। কোনও সমাধান সূত্র না বরোলেও বৈঠক ভাল হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী। আগামী ৩ ডিসেম্বর ফের বৈঠকে বসতে চলেছেন তাঁরা। প্রথমে তাঁরা রাজি হচ্ছিলেন না। পরে সম্মতি জানিয়েছেন। বিক্ষুব্ধ কৃষকদের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, তাঁরা শান্তিপূর্ণ সমাধান চান। একই সঙ্গে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যেতে চান বলে হুঙ্কার দিয়েছেন।

অমিত শাহের প্রস্তাব
এর আগে কৃষকদের আলোচনায় প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কন্তু সেটায় শর্ত ছিল বলে তা মেনে নিতে চাননি বিক্ষুব্ধ কৃষকরা। কোনও ভাবেই কোনও শর্তের উপর নির্ভর করে তাঁরা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন না বলে জানিয়েছিলেন। উল্টে আন্দোলনের ধার আরও বাড়িয়ে দিয়েছিলেন কৃষকরা।

খালিস্তানি প্রসঙ্গ
বিক্ষোভ রত কৃষকদের খালিস্তানি জঙ্গিদের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে বলে আক্রমণ শানিয়েছিলেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ প্রথম বিক্ষুব্ধ কৃষকদের খালিস্তানি জঙ্গি বলে আক্রমণ করেছিলেন। পরিস্থিতি সামাল গিতে অমিত শাহ ময়দানে নামেন। তিনি বিরোধীদের সতর্ক করে বলেথছিলেন খালিস্তানি জঙ্গি প্রসঙ্গ টেনে যেন কৃষকদের বিক্ষোভকে কোনও রাজনৈতিক রং দেওয়ার চেষ্টা না করা হয়।