Human Rights: এগ্রিগেটর প্ল্যাটফর্মের 'হায়ার অ্যান্ড ফায়ার'-এ মানবাধিকার লঙ্ঘন! মোকাবিলার ডাক NHRC প্রধানের
এগ্রিগেটর প্ল্যাটফর্মের হায়ার অ্যান্ড ফায়ার প্রক্রিয়াকে শ্রম বিরোধী এবং মানবাধিকারের চরমতম লঙ্ঘন বলে অভিহিত করলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন বিচারপতি অরুণ কুমার মিশ্র। এব্যাপারে তিনি বিচারবিভাগ, আইনসভা, নির্
এগ্রিগেটর প্ল্যাটফর্মের হায়ার অ্যান্ড ফায়ার প্রক্রিয়াকে শ্রম বিরোধী এবং মানবাধিকারের চরমতম লঙ্ঘন বলে অভিহিত করলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন বিচারপতি অরুণ কুমার মিশ্র। এব্যাপারে তিনি বিচারবিভাগ, আইনসভা, নির্বাহী এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলিকে এগিয়ে এসে এর মোকাবিলায় নতুন পদ্ধতি গ্রহণের আহ্বান করেছেন।
মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা
বিচারপতি অরুণ কুমার মিশ্র বহুজাতিক সংস্থাগুলি যাতে মানবাধিকারের প্রতি সম্মান জানায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি জাতীয় আইনি পরিকাঠামোর মধ্যে যাতে তারা দরকষাকষি করতে না পারে, তার জন্যও আহ্বান জানিয়েছেন। নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে ৭৪ তম মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ভাষণ দিচ্ছিলেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
গ্লোবালাইজেশনের প্রভাব
বিচারপতি মিশ্র বলেছেন, বিশ্বায়ন বিদেশি বিনিয়োগ এনেছে। এর ফলে বহুজাতিক সংস্থা এবং বেশ কয়েকটি দেশের হাতে সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে। বিশ্বায়ন রাষ্ট্রের ক্ষমতার সঙ্গে প্রতিযোগিতার মধ্যেও ক্ষমতার কেন্দ্র তৈরি করেছে। পুঁজির অবাধ বিচরণ তা পাচারের কারণ হয়ে উঠেছে। কোনও বিনিয়োগ ছাড়াই এগ্রিগেটর প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহের অধিকার নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই পরিবেশন, বলেছেন তিনি। এদের একচেটিয়া অবস্থান বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলকে ব্যাহত করছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বিচারপতি বলেছেন, তারা আকৃতি পরিবর্তন করতে পারে এবং সহজেই সনাক্ত করতে পারে। এরাই শ্রম বিরোধী হায়ার অ্যান্ড ফায়ারের সঙ্গে যুক্ত। এরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের পাশাপাশি কর ফঁকি দেয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
নতুন পদ্ধতি গ্রহণের আহ্বান
বিচারপতি
মিশ্র
এব্যাপারে
বিচার
বিভাগ,
আইনসভা,
নির্বাহী
এবং
মানবাধিকার
সংস্থাগুলির
কাছে
নতুন
পদ্ধতি
গ্রহণের
আহ্বান
জানিয়েছেন।
পাশাপাশি
তিনি
সুশীল
সমাজকেও
স্বজাগ
থাকতে
বলেছেন।
জাতীয়
মানবাধিকার
কমিশনের
চেয়ারপার্সন
কোনও
সংস্থার
নাম
না
বললেও,
সাম্প্রতিক
সময়ে
এগ্রিগেটর
কোম্পানি
এবং
স্টার্ট-আপ
সংস্থাগুলির
ছাঁটাই-এর
যেসব
প্রতিবেদন
সামনে
এসেছে,
তাঁর
মন্তব্যে
সেইসব
সংস্থার
কথাই
উঠে
এসেছে।
গত
কয়েকদিনে
জোমাটো,
ফেসবুক,
গুগল,
টুইটার
তাদের
সংস্থা
থেকে
একের
পর
এক
কর্মী
ছাঁটাইয়ের
কথা
জানিয়েছে।
বিচারপতি
মিশ্র
ব্যবসা-সম্পর্কিত
মানবাধিকার
লঙ্ঘনের
শিকার
হওয়াদের
অধিকার
রক্ষার
প্রয়োজনীয়তার
ওপরে
জোর
দিয়েছেন।
তিনি
বলেছেন,
পরিচালনার
শর্তাবলী
এবং
লাইসেন্সের
শর্তাবলীর
মধ্যো
অবশ্যই
মানবাধিকার
সুরক্ষার
বিধান
অন্তর্ভুক্ত
থাকতে
হবে।
মহিলাদের অবস্থার উন্নতির ডাক
সামাজিক, প্রথাগত এবং ধর্মীয় কারণে আমরা বিশ্বব্যাপী নারীদের প্রতি বৈষম্য দেখতে পাই। সম্পত্তির অধিকার, উত্তরাধিকার, পিতামাতার অধিকার, বিবাহিত নারীদের আবাসস্থল, আইনি সক্ষমতার বৈষম্য দূর করতে আইনি বিধান তৈরির মাধ্যমে পরিস্থিতির পরিবর্তনের সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। বিচারপতি মিশ্র আরও বলেছেন সমাজের দুর্বল অংশ ছাড়াও, গ্রামীণ এলাকায় মহিলাদের অবস্থার আরও উন্নতি প্রয়োজন। তিনি বলেছেন, সমতা নিশ্চিত করতে উন্নয়ন এবং সঠিক শিক্ষার মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন অপরিহার্য।
Weather News: মান্দোস যেতে না যেতেই সাগরে আরও এক ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা! বাংলার জেলাগুলির আবহাওয়া একনজরে