নীরব মোদীর বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির হিসেবেও 'গরমিল'! অভিযুক্ত তদন্তকারী সংস্থা
দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া ব্যবসায়ী নীরব মোদী ও মেহুল চোকসহির ফেলে যাওয়া সম্পত্তির হিসেবেও গণ্ডগোল।
দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া ব্যবসায়ী নীরব মোদী ও মেহুল চোকসহির ফেলে যাওয়া সম্পত্তির হিসেবেও গণ্ডগোল। অভিযুক্তরা দেশ ছাড়ার পর তদন্তকারী সংস্থার ইডির তরফে জানানো হয়েছিল, মোট ৭৮০০ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
যদিও, বর্তমানে দেখা যাচ্ছে সেই হিসেবের পরিমাণ প্রায় অর্ধেক। ৩৮০০ কোটির কাছাকাছি। ফলে মূল্যায়ন নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
মূল্যায়ন নিয়ে বিতর্ক ওঠায় বিষয়টিকে অর্থনৈতিক অপরাধ হিসেবে গণ্য করে এই ঘটনারও তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইডির তরফ থেকে। অভিযোগের জবাব দিতে সম্পত্তির নতুন করে মূল্যায়নেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইডির তরফে কাস্টমসের কাছে দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খারাপ জিনিস বেশি দামে বিক্রি করার অভিযোগ করা হয়েছে। ডায়রেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের তরফে নীরব মোদীর বিরুদ্ধে বেশি মূল্যনির্ধারণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
নীরব মোদীর ব্যবসায়িক চেনের সঙ্গে যুক্ত দুই ব্যক্তি তাদের কাছে বিক্রিত গয়নার বেশি মূল্য নির্ধারণ নিয়ে অভিযোগ জানানোর পর থেকে সন্দেহ আরও গাঢ় হয়। ফলে যে মূল্যের গয়না তদন্তকারীরা প্রথমে বাজেয়াপ্ত করেছিলেন বলে মনে হয়েছিল, পরে দেখা যায় সেই গয়নার বাজার মূল্য অনেকটাই কম।
২০০৯ থেকে ২০১৩-র মধ্যে গীতাঞ্জলির ম্যানেজিং ডিরেক্টর থাকা সন্তোষ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, যদি বাজেয়াপ্ত করা গয়নার মূল্য ১০ থেকে ২০ শতাংশে গিয়ে দাঁড়ায় তিনি অবাক হবেন না।
দেশের একাধিক তদন্তকারী সংস্থার নিখোঁজের তালিকায় মেহুল চোকসহি ও তাঁর ভাগ্নে নীরব মোদী। তাদের সংস্থা রাষ্ট্রায়ত্ত পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ককে বিভিন্ন উপায়ে ১৩, ৬০০ কোটি টাকা প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ। দুজনেই এবছরের জানুয়ারিতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়।