পুরুষে ঠাসা মিজোরাম বিধানসভা, জায়গা পেলেন না একজনও মহিলা
ফের একবার মিজোরাম বিধানসভা হতে চলেছে মহিলা বিহীন। যে ১৬ জন মহিলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তাঁরা সবাই পরাজিত হয়েছেন।
মিজোরামের বিধানসভায় মিলে গিয়েছে এক্সিট পোলের হিসাব। ১০ বছর পর ফের ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে মিজোরামে জয় পেয়েছেন অনেক নতুন মুখ। কিন্তু, অদ্ভুতভাবে আবারও মিজো বিধানসভা হতে চলেছে নারী বিহীন।
নির্বাচনে কিন্তু একজন দুজন নয়, ১৬ জন মহিলা প্রার্থী ছিল। মিজোরামের নির্বাচনের ইতিহাসে একসঙ্গে এতজন মহিলা প্রার্থী হয়েছিলেন প্রথমবার। কিন্তু ফল বেরোতে দেখা গেল, তাঁদের একজনও জিততে পারেননি।
তবে উত্তর-পূ্র্ব ভারতের এই রাজ্যের নির্বাচনী ইতিহাসে বরাবরই মহিলাদের অংশগ্রহণ কম থাকে। বস্তুত পাঁচ বথর আগের নির্বাচনেও একজনও মহিলা প্রার্থী নির্বাচিত হননি। পরে মুখ্যমন্ত্রী লাল থানহাওলার ছেড়ে দেওয়া আসনে উপনির্বাচনে কংগ্রেসের মহিলা প্রার্থী ভানলালাওমপুই চাওয়াথু জয়ী হন। মন্ত্রীসভাতেও তাঁকে স্থান দেওয়া হয়েছিল।
মিজোরাম প্রথম মহিলা মন্ত্রী অবশ্য পেয়েছিল সেই ১৯৮৭ সালেই। এমএনএফ-এর প্রথম মন্ত্রীসভায় লাললিমপুই হামার মন্ত্রী হয়েছিলেন। আর মিজোরাম কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল থাকার সময় ১৯৭৮ সালে প্রথম মহিলা বিধায়ক হন থানমাওয়ি।
[আরও পড়ুন:মিজোরামের বিধানসভা ভোটে-পরিসংখ্যানে রেকর্ড গড়েছেন কারা ]
এইবারের নির্বাচনে অবশ্য সরকার গড়তে যাওয়া এমএনএফ একজনও মহিলা প্রার্থী দেয়নি। দলের সভাপতি জোরামথঙ্গা জানিয়েছিলেন, প্রার্থী হওয়ার মতো একজনও মহিলাকে পাননি তাঁরা।
[আরও পড়ুন: সেনাপতি সহ দুর্গপতন মিজোরামে! মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে ধরাশায়ী কংগ্রেস শিবির ]
বিজেপি ও নবগঠিত দল জোরাম থার ৬ জন করে মহিলা প্রার্থী দিয়েছিল। আর কংগ্রেস ও জোরাম পিপলস মুভমেন্ট দিয়েছিল ২ জন করে মহিলা প্রার্থী। ভানলালাওমপুই চাওয়াথুও রাঙতুরজো কেন্দ্রে পরাজিত হয়েছে।
[আরও পড়ুন: 'এটা কংগ্রেসের জয় নয়, মানুষের রাগ', নির্বাচনের ফলাফলে বিস্ফোরক শিবসেনা নেতা]