আবার খবরে বদাউন! দুই সন্তানের জননীকে রাতভর গণধর্ষণ
গত শুক্রবার রাতে বদাউনের বিসৌলি এলাকায় দুই সন্তানকে নিয়ে ওষুধ কিনতে বেরিয়েছিলেন ৩২ বছর বয়সী ওই মহিলা। অভিযোগ, জনৈক পুলিশ অফিসারের ছেলে হিমাংশু তাঁর পিছু নেয়। অশালীন প্রস্তাব দেওয়া হয় ওই মহিলাকে। তিনি রাজি না হওয়ায় হিমাংশু জোর করে তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে কাছের একটি নির্মীয়মান বাড়িতে আটকে রাখে। সঙ্গে মহিলার দুই সন্তানকেও আটকে রাখা হয়। কিছুক্ষণ পর সে তার দুই বন্ধুকে নিয়ে ফেরে। সন্তানদের চোখের সামনেই ওই মহিলাকে সারা রাত ধরে পরপর ধর্ষণ করে তিনজন। মহিলার দুই সন্তান কাঁদতে শুরু করলে তাদের মারধর করা হয়। শনিবারও সারা দিন ধরে ধর্ষণ করা হয় ওই মহিলাকে। রাতে তিনি ছাড়া পান। বিধ্বস্ত, রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে এলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এসএসপি এল আর কুমার জানান, মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। হিমাংশ এবং খলিফা ওরফে প্রমোদকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। তৃতীয় ব্যক্তিটি কে ছিল, তা এখনও জানা যায়নি। অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে এই বদাউনেই দুই কিশোরীকে গণধর্ষণের পর খুন করে গলায় দড়ি বেঁধে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছিল গাছে। সেই ছবি ছড়িয়ে পড়তে ব্যাপক হইচই শুরু হয়। তোপের মুখে পড়েও বিষয়টি নিয়ে এতটুকু সংবেদনশীলতা দেখাননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ সিং যাদব। যদিও জনমতের চাপে পড়ে অভিযুক্তদের শেষমেশ গ্রেফতার করতে বাধ্য হয় পুলিশ। উত্তরপ্রদেশে নারী সুরক্ষার ছবিটা যে খুবই মলিন, তা বদাউনের দ্বিতীয় ঘটনাটিতে ফের প্রমাণ হল।