মুখ্যমন্ত্রী পদে ইয়েদুরাপ্পার পর কি এবার ব্রাহ্মণ নেতা! কর্ণাটকে গেরুয়া রাজনীতিতে জল্পনার ঝড়
মুখ্যমন্ত্রী পদে ইয়েদুরাপ্পার পর কি এবার ব্রাহ্মণ নেতা! কর্ণাটকে জল্পনার ঝড়ের মাঝে নাম উঠতে শুরু করল প্রহ্লাদের
কর্ণাটকে গেরুয়া রাজনীতির অন্দরমহলে তোলপাড় ফেলে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে শেষমেশ ইস্তফা দিয়েছেন বি এস ইয়েদুরাপ্পা। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রার নাম ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা। এই জল্পনার মাঝেই যখন ইয়েদুরাপ্পা তাঁর ইস্তফা পত্র রাজ্যপালের কাছে তুলে দিতে চলেছেন, তখন তাঁর ফেলে আসা মসনদে বিজেপির কোন সদস্য বসতে পারেন তা নিয়ে প্রবল জল্পনা রয়েছে। এরই মাঝে নাম উঠে আসছে প্রহ্লাদ যোশীর। কে এই প্রহ্লাদ যোশী? দেখে নেওয়া যাক কিছু তথ্য।
জাতপাতের রাজনীতি ও কর্ণাটকে বিজেপির অঙ্ক
বিজেপির ন্যাশনাল জেনারেল সেক্রেটারি সিটি রবি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর নাম মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য বারবার শোনা যাচ্ছে। তবে বিএস ইয়েদুরাপ্পার গমনে বিজেপি ইতিমধ্যেই কর্ণাটকে একজন লিঙ্গায়েত নেতাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে খুইয়েছে। ফলে লিঙ্গায়েত ভোটব্যাঙ্কে বিজেপির ক্ষেত্রে ভারসাম্য হারাতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। এদিকে, সেই জায়গায় একজন লিঙ্গায়েত নেতাকেই জায়গা দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন অনকেই। এই জায়গা থেকে যদি প্রহ্লাদ যোশী সেখানের মুখ্যমন্ত্রী হন তাহলে ১৯৮৮ সালের পর কর্ণাটক প্রথম ব্রাহ্মণ মুখ্যমন্ত্রী পেতে পারে।
প্রহ্লাদ যোশীর অবস্থান
এদিকে, কর্ণাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘিরে যখন জল্পনার পাহাড়, তখন ইস্যুটি নিয়ে মুখ খুলেই প্রহ্লাদ যোশী জানিয়ে দিয়েছেন যে আপাতত ইয়েদুরাপ্পার পদক্ষেপ নিয়ে তিনি সেভাবে কিথুই জানেন না। তিনি বলেন, বিজেপিতে কোনও হাই কমান্ড নেই। পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যা ঠিক করেন তাই হয়।
মুখ্যমন্ত্রী পদে সিটি রবি আসলে বিজেপির লাভ কোথায়?
প্রসঙ্গত জাতপাতের রাজনীতির মধ্যেও কর্ণাটকে উঠে আসছে ভোটব্যাঙ্ক দখলের লড়াই। সেখানে জাতপাতের রাজনীতির মধ্যে এলাকায় দখল রাখাও একটি বড় ফ্যাক্টর। সেেই জায়গা থেকে মুখ্যমন্ত্রী পদে যদি সিটি রবি বসেন, তাহলে দক্ষিণ কর্ণাটকে বিজেপির জোর শক্ত হবে। যা আখেরে আসন্ন নির্বাচনে লাভ দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কেন উজ্জ্বল হচ্ছে প্রহ্লাদ যোশীর নাম?
২০০৪ সাল থেকে কর্ণাটকের ধানওয়াড়ের সাংসদ বিজেপি নেতা প্রহ্লাদ যোশী। ২০১২ থকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি কার্ণাটকে রাজ্য বিজেপির প্রধান ছিলেন। তাঁর আগে কর্ণাটকের হুব্বালি থেকে সেভাবে কোনও নেতার নাম উঠে আসেনি মুখ্যমন্ত্রীর তালিকায়। এক সূত্রের মতে, যোশীর ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের তরফে তাঁর সংসদীয় এলাকায় রয়েছে ৮৫ হাজার ভোট। ২০১৯ সালে তাঁর জয়ের ব্যবধান ছিল ২ লাখ। সেই জায়গা থেকে ২০২৪ এর দিকে তাকিয়ে কর্ণাটকে বিজেপি কোনও বড় সিদ্ধান্ত নেয় কি না, সেদিকে তাকিয়ে দেশ।