আলিগড়ের পর এবার মুম্বইয়ের জিন্না হাউস নিয়ে নয়া বিতর্ক ,প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেতা
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা তথা মুসলিম লিগ নেতা মুহম্মদ আলি জিন্নার ছবি রাখা নিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তারি হয়।
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা তথা মুসলিম লিগ নেতা মুহম্মদ আলি জিন্নার ছবি রাখা নিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তারি হয়। এবার আলিগড়ের সেই ঘটনার রেশ গিয়ে পৌঁছল বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে। সেখানে জিন্না হাউস ও হল নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন বিজেপি বিধায়ক প্রভাত লোধা।
বিজেপি বিধায়ক প্রভাত লোধার দাবি, জিন্না হাউস ও জিন্না হল -কে কোনও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে পর্যবসিত করতে হবে। পাশাপাশি , ওই হল ও হাউস থেকে জিন্নাহর নাম সরিয়ে ফেলবারও দাবি জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, মুম্বইয়ের ওই বাড়িটিই ছিল মুহম্মদ আলি জিন্নার এককালের বাসভবন। পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল জিন্না। উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে জিন্নার ছবি রাখা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। সেখানের ছাত্রদের অভিযোগ কিছু দক্ষিণপন্থী সংগঠনের সদস্যরা ক্যাম্পাসে ঢুকে জিন্নার ছবি স্টুডেন্ট ইউনিয়ার রুম থেকে সরিয়ে ফেলার দাবি তোলে। যার বিরুদ্ধে সরব হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা।
অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। দু'পক্ষের সংঘর্ষে ২৮ জন পড়ুয়া ও ১৩ জন পুলিশ আহত হয়েছেন।পরিস্থিতি সামলাতে বেশ বেগে পেতে হয় যোগীরাজ্যের পুলিশকে। এদিকে, এরকম এক অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে রামপুরের মুসলিম মহাসংঘ জিন্নার ছবি পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য় ১ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করে। সংগঠনের দাবি, দেশভাগের নেপথ্যে ছিলেন জিন্না, তাই তাঁর ছবি পুড়িয়ে ফেলা হোক। আর এই ঘটনা আলিগড় ক্যাম্পাসের মবল ঘটনাকে আরও উস্কে দিয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ক্রমাগত জটিল হয়ে পড়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে মুম্বইতে জিন্না হাউস নিয়ে প্রশ্ন তুলে সংবাদ শিরোনামে এখন বিজেপি বিধায়ক প্রভাত লোধি।