ত্রিপুরার পর নজর অসমে, অখিলের কাঁধে ভর করেই বিজেপির বিজয়রথ আটকাতে চাইছেন মমতা ?
ত্রিপুরার পর নজর অসমে, অখিলের কাঁধে ভর করেই বিজেপির বিজয়রথ আটকাতে চাইছেন মমতা ?
চব্বিশের ভোটে পদ্ম শিবিরকে ধরাশায়ী করতে এখন থেকেই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে মমতা-পিকে জুটি। ত্রিপুরার পর নজর এবার অসমে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি অসমের মোদী বিরোধী নেতা অখিল গগৈকে দলে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দিল তৃণমূল। তৃণমূল সূত্রে খবর, শনিবার কলকাতায় এসেছিলেন অখিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকই যে তাঁর সফরের মূল উদ্দেশ্য, তা আগে থেকেই স্পষ্ট ছিল রাজনৈতিক মহলের কাছে।
স্বীকার করলেন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব
এমনকী তাঁকে যে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা স্বীকারও করেন অখিল। অসমে তৃণমূলের যে রাজ্য কমিটি হবে সেখানে তাঁকেই মুখ্য দায়িত্ব দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে। সহজ কথায় বিজেপি শাসিত অসমে ঘাসফুল ফোটাতে শিবসাগরের বিধায়ক তথা রাইজর দলের সভাপতি অখিল গগৈয়ের উপরেই ভরসা রাখতে চাইছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। অন্যদিকে ত্রিপুরায় ইতিমধ্যে খেলা শুরু করেছেন মমতা।
ত্রিপুরার পর অসমে নজর
ভারতের দ্বিতীয় বাঙালি অধ্যুষিত ত্রিপুরার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নজর দিয়েছে তৃণমূল। যদিও সেখানেও বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে একটানা ২০ বছর ক্ষমতায় থাকা বামফ্রন্টকে পরাস্ত করে ক্ষমতায় আসে গেরুয়া শিবির। এবার বাংলার পর সেই ত্রিপুরাতে বিজেপির বিজয়রথ ঠেকাতে চাইছেন মমতা। এই প্রেক্ষাপটে ত্রিপুরার পর অসমে মমতার নজর দেওয়াকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।
অখিলের কাঁধে ভর করেই ছুটবে মমতার বিজয়রথ ?
ইতিমধ্যে ত্রিপুরায় গিয়েছেন মমতার অন্যতম প্রধান সৈনিক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই সরগরম ত্রিপুরার রাজ্য-রাজনীতি। ত্রিপুরার মাটিতে পা দিয়েই দিয়েছেন লড়াইয়ের ডাক। এমনকী আগীম দেড় বছরের মধ্যে সেখানের বাংলার মতোই উন্নয়নের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে বলে বিজেপিকে সামনে রেখেই হুঙ্কারও দিতে দেখা যায় তাকে। এমতাবস্থায় অসমে অখিলের কাঁধে ভর করে ঘাসফুল ফোটে কিনা এখন সেটাই দেখার।
মমতাই নবজাগরণের প্রতীক
এদিকে সিএএ-এনআরসি আন্দোলনের সময় গ্রেফতার হয়ে ১৯ মাস কারাবাসেও থাকতে হয় তাঁকে। এদিকে কলকাতায় এসে বারংবার মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা যায় অসমে সিএএ, এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পুরধা অখিল গগৈকে। এমনকী বিজেপি, আরএসএস-এর সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই দেশকে মুখ্য নেতৃত্ব দিচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। এমনকী তাঁর হত ধরেই বিজেপি বিরোধী প্রধান জোট করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। এমনকী তৃণমূল সুপ্রিমোকে 'নবজাগরণের প্রতীক' বলেও স্তুতি গাইতে দেখা যায় তাঁকে। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজমনৈতিক মবলে।