লোকসভা ভোটের পর এবার হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচনেও পালে হাওয়া বিজেপির
লোকসভার পর এবার হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচনেও পালে হাওয়া বিজেপির
ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দলের (আইএনএলডি) একসময়ের জোট সঙ্গী বিজেপিকে নতুন রূপে দেখা যেতে চলেছে এবারের আসন্ন হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে। আইএনএলডির অভ্যন্তরীণ ভাঙন, আঞ্চলিক দলগুলি বহুবিধ সমস্যা ও সর্বোপরি ২০১৪-র পর ২০১৯ এও দেশ জুড়ে অব্যাহত থাকা মোদী হাওয়ার ফলে হরিয়ানাতেও ক্রমেই শক্ত হয়েছে বিজেপির মাটি। অন্যদিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে দিল্লির তিহার জেলে বন্দি থাকা ৮৪ বছর বয়সী আইএনএলডির দলীয় সভাপতি ওম প্রকাশ চৌতালা ও তার জ্যেষ্ঠ পুত্র অজয় চৌতালার বিশেষ প্যারোল ইতিমধ্যেই মঞ্জুর হয়েছে। হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে প্রচার অভিযানেও তারা অংশগ্রহণ করতে পারেন বলে সূত্রের খবর।
পাশাপাশি হরিয়ানার একসময়ের অপ্রতিরোধ্য রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে উঠে আসা আইএনএলডি নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ইতিমধ্যেই শিরোমণি অকালি দলকে নিজেদের জোট সঙ্গী হিসাবে বেছে নিয়েছে। পাঁচ বছর আগেও হরিয়ানায় ১৯টা আসন পেয়ে প্রধান বিরোধী দল হিসাবে নিজেদের জায়গা পাকা করতে পেরেছিল আইএনএলডি। কিন্তু দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও বিরোধের কারণে ১৯ জন বিধায়কের মধ্যে পরবর্তীতে ১৭ জনই বিজেপিতে চলে যাওয়ায় রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের তকমা হারায় দেশের প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী দেবী লালের হাতে তৈরি এই দলটি।
আইএনএলডি মূল ভাঙনের রূপরেখা তৈরি হয় যখন ওম প্রকাশ চৌতালার দুই ছেলে অজয় চৌতালা ও অভয় চৌতালার মধ্যে রাজনৈতিক বৈপরীত্য ক্রমেই বাড়তে থাকে। পরবর্তীতে দলীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে যখন অজয় চৌতালা ও তাঁর দুই পুত্র দুরন্ত ও দিগ্বিজয়কে দল থেকে বার করে দেওয়া হয় তখন রাজনৈতিক সংঘাত আরও চরমে ওঠে। এরপর ২০১৮-র শেষ দিকে যখন হিসরার বিধায়ক তথা অজয় পুত্র দুরন্ত চৌতালা জননায়ক জনতা পার্টি গঠন করেন তখন আইএনএলডির সঙ্গে তাদের রাজনৈতিক বিরোধ আরও সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে।
এই প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের মত আইএনএলডি ও জননায়ক জনতা পার্টি (জেজেপি) এই রাজনৈতিক সংঘাত থেকে সব থেকে বেশি ফায়দা তুলতে পারে বিজেপি। সেই কারণেই হরিয়ানার প্রায় ৩০টি জাট অধ্যুষিত আসনে ভোট ভাগাভাগি হতে পারে বলেও মত তাদের। এদিকে ২০০৯-এ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ৯০টি আসনের মধ্যে মাত্র ৪টে আসন পায়। সেখানে ২০১৪-র নির্বাচনে তাদের ভোট গত নির্বাচন থেকে ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে দাডা়য় ৩৩.৩ শতাংশে।
অন্যদিকে ২০১৪-র লোকসভা ভোটে বিজেপি এই রাজ্যে মোট ভোট পায় ৩৪শতাংশ। যেখানে ৪২ শতাংশ জাট ভোট গিয়েছিল আইএনএলডির ঘরে। আইএনএলডির ভাঙনের পর ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচনে সেই বিজেপিরই ভোট ২৪শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৫২ শতাংশে। এখন ২৪ তারিখের হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল কী বলছে সেদিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ।
২০১৯ করওয়া চৌথ: ৭০ বছর পর অত্যন্ত শুভদিন আসন্ন! জানুন সময়-তিথি