কুম্ভের কারণেই বাঁধ ভাঙা করোনা সংক্রমণ, উত্তরাখণ্ডে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বাড়ল ১৮০০ শতাংশ
কুম্ভমেলার পরেই উত্তরাখণ্ডে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বাড়ল ১৮০০ শতাংশ
মঙ্গলবার
কুম্ভে
শেষ
শাহি
স্নানের
পরেই
হরিদ্বারে
কার্ফু
জারি
করেছে
উত্তরাখণ্ড
সরকার।
কিন্তু
তারপরেও
কমছে
না
উদ্বেগ।
হরিদ্বারের
জেলাশাসক
ইতিমধ্যেই
জানিয়েছেন
হরিদ্বার,রুরকি,
লাকসার
এবং
ভগবানপুর
জারি
থাকবে
কার্ফু।
এদিকে
কুম্ভমেলাকে
কেন্দ্র
করে
হরিদ্বার
সহ
গোটা
উত্তরাখণ্ডে
শিকেয়
ওঠে
করোনা
বিধি।
এদিকে
পরিসংখ্যান
বলছে
গত
২৫
দিনে
উত্তরাখণ্ডে
সক্রিয়
রোগীর
সংখ্যা
বেড়েছে
প্রায়
১৮০০
শতাংশ।
মার্চের
৩১
তারিখ
থেকে
এপ্রিলের
২৪
তারিখের
মধ্যে
এই
ব্যাপক
সংক্রমণ
বৃদ্ধি
হয়েছে
বলে
জানাচ্ছে
রাজ্যের
স্বাস্থ্য
মন্ত্রক।
পরিসংখ্যান বলছে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারতের এই পার্বত্য রাজ্যে করোনায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল ১৮৬৩। কিন্তু ১ এপ্রিল থেকে কুম্ভমেলা শুরুর পর থেকেই ধীরে ধীরে পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে। পরবর্তীতে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ৩৩০। সরকারি পরিসংখ্যান বলথে শাহি স্নান উপলক্ষে ১২ এপ্রিল হরিদ্বারে প্রায় ৩৫ লক্ষের বেশি মানুষের জমায়েত হয়। এপ্রিলের ১৪ তারিখ পর্যন্ত যা ছিল ১৩.৫১ লক্ষ। আর তাতেই এই বড়সড় বিপর্যয় বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
অমানবিক য়োগীরাজ্য! করোনা আতঙ্কে শেষকৃত্যে বাধা, সাইকেলে মৃত স্ত্রীর দেহ নিয়ে গ্রাম ছাড়া বৃদ্ধ
এদিকে প্রতি ১২ বছর অন্তর কুম্ভ মেলা হলেও এবারে তা হয় ১০ বছরের ব্যবধানে। অন্যদিকে এই বছর এমন এক অসাধারণ পরিস্থিতির মধ্যে মেলার আয়োজন হয়, যখন গোটা বিশ্বের মধ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যার বিচারে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। তাই মেলার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে শুরু থেকেই বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এদিকে করোনা পরিস্থিতিতির মোকাবিলায় হরিদ্বারের সমস্ত ঘাটে কঠোরভাবে কোভিড বিধি পালনের জন্য নির্দেশিকা জারি করা হলেও বারবার অভিযোগ ওঠে যে সেই বিধি মানা হয়নি। এদিকে বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তর প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে উত্তরাখণ্ডে শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৫,৭০৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৯৬ জনের।