গোরক্ষনাথ মন্দিরে হামলার পর যোগী আদিত্যনাথের নিরাপত্তায় যোগ হল সিআরপিএফ
গোরক্ষনাথ মন্দিরে হামলার ঘটনার পর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সুরক্ষা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে সিআরপিএফ। মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ৫ কেডি–তে ২ পল্টন আধা সেনা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গোরক্ষনাথ মন্দিরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জোর করে আততায়ীর প্রবেশের ঘটনার পরই সরকার যোগী আদিত্যনাথের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রসঙ্গত, এই মন্দির প্রায়ই দর্শন করতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তাই মন্দিরে উচ্চ স্তরের নিরাপত্তা মোতায়েন করা রয়েছে। রবিবার গোরক্ষনাথ মন্দিরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এক আততায়ী জোর করে ঢোকার চেষ্টা করে এবং এই ঘটনায় আহত হন দুই পুলিশ কর্মী। অতিরিক্ত ক্ষমতাশালী হওয়ার আগেই আততায়ী মুর্তাসা আব্বাসিকে গ্রেফতার করে ফেলে পুলিশ।
আব্বাসিকে গ্রেফতারের পর উত্তরপ্রদেশ পুলিশ অভিযুক্তের গোরক্ষপুরের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় এবং সেখান থেকে ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করে, যেখানে বিতর্কিত ইসলামিক প্রচারক জাকির নায়েক ও আইএসআই–এর ভিডিও রয়েছে। আব্বাসির সম্পর্কে আরও খোঁজ–খবর নিতে উত্তরপ্রদেশের এটিএসের দল মুম্বইয়ের দিকে রওনা দিয়েছে, আব্বাসি এই বাণিজ্যনগরে বেশ কিছুদিন ছিল বলে জানা গিয়েছে। সোমবার উত্তরপ্রদেশের এটিএস টিম বাঁশির কাছে সানপাড়া নোডের কাছে একটি বহুতল (মিলেনিয়াম টাওয়ার)–এ হানা দেয়। আব্বাসের আধার কার্ডে উল্লেখ করা সেই ফ্ল্যাটটি ২০১৩ সালে বিক্রি হয়ে গিয়েছে বলে জানতে পারে এটিএস। এটিএসের এক আধিকারিক জানিয়েছেন যে আব্বাসির বাবা মুনির আব্বাসি নবি মুম্বইতে সিউড দারাভেতে সেক্টর ৫০–তে তেজ হাইটস অ্যাপার্মেন্টে আর একটি ফ্ল্যাট কেনেন। এনআরআই পুলিশ স্টেশনের সহায়তায় এটিএস সেই ফ্ল্যাটটিতে হানা দেয়। জানা গিয়েছে যে ২০২০ সালের অক্টোবরে আব্বাসির পরিবার গোরক্ষপুরে চলে আসে এবং লকডাউনের সময় এই ফ্ল্যাটটি খান নামে এক মুসলিমকে ভাড়া দিয়ে দেয়।
মুর্তাজা যখন নবি মুম্বাইয়ের সানপাড়া নোডে থাকত সেই সময় মুতার্জাকে যারা চিনত তাঁদের সঙ্গে পুলিশ কথা বলছে। গোরক্ষনাথ থানায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ধারালো অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।