'সাম্প্রদায়িক' মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড টুইটার অ্যাকাউন্ট! ক্ষুব্ধ প্রাক্তন মন্ত্রীর চিঠি মোদীকে
সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়ানোর অভিযোগে সাসপেন্ড প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অনন্তকুমার হেগড়ের টুইটার অ্যাকাউন্ট।
সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়ানোর অভিযোগে সাসপেন্ড প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অনন্তকুমার হেগড়ের টুইটার অ্যাকাউন্ট। যদিও নিজেকে নির্দোষ দাবি করে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের চিঠি লিখেছেন তিনি। টুইটারের পদক্ষেপকে ডিজিটাল কলোনাইজেশনের পাশাপাশি ভুল পদক্ষেপ বলেও বর্ণনা করেছেন তিনি।
সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করার অভিযোগ
বারবারই বিতর্কে উঠে এসেছেন অনন্তকুমার হেগড়ে। তবলিঘ-ই-জামাত নিয়ে মন্তব্য করার পাশাপাশি শিখদের এক ধর্মগুরুকে নিয়ে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ। কংগ্রেস অভিযোগ করেছিল হেগড়ে জামাত সদস্যদের খুনের হুমকিও দিয়েছেন। অন্যদিকে শিখ ধর্মগুরু ধর্মের দোহাই দিয়ে পঞ্জাবকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র করেছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন হেগড়ে। এর সবই করেছিলেন টুইটারে।
প্রাক্তন মন্ত্রীর টুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড
টুইটারের তরফ থেকে প্রাক্তন মন্ত্রীকে জানানো হয়, তাঁর টুইটগুলি বিধি লঙ্ঘন করেছে। যদি তা ভুল বশত করা হয়ে থাকে, তাহলে তা যেন মুছে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রাক্তন মন্ত্রী তা করতে অস্বীকার করেন। এরপরেই অনন্তকুমার হেগড়ের টুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়।
ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতার চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে
টুইটার কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অফিসে চিঠি লেখেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, টুইটার কর্তৃপক্ষ পক্ষপাতিত্ব করেছে। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ টুইটার কর্তৃপক্ষ ভারত বিরোধী, বিজেপি বিরোধী, মোদী বিরোধী আবস্থান নিয়েছে।