সাভারকরকে নিয়ে বিতর্কিত বুকলেট প্রসঙ্গে এবার এনসিপির তোপ কংগ্রেসকে
সম্প্রতী মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের তরফে এক বুকলেট প্রকাশ করা হয় দামোদর সাভারকরকে নিয়ে। তাতে দাবি করা হয়, সভারকার ও নাথুরাম গডসের মধ্যে সমকাম যৌনতার সম্পর্ক ছিল। যার জেরে বেজায় চটেন সেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। এবার এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসকে এক হাত নিলেন এনসিপির মুখপাত্র তথা মহা আঘাড়ি জোটের মন্ত্রী নবাব মালিক।
এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসকে তোপ দেগে নবাব মালিক বলেন, 'নীতিগত বিরোধ থাকলেই যে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে হবে বা কুরুচিকর মন্তব্য করতে হবে এরকম নয়। এভাবে আপত্তিজনক বিষয় লেখা উচিত নয়। এই বুকলেটটি ফেরত নিয়ে নেওয়া উচিত।'
সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সেবাদলের একটি বুকলেট ঘিরে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। সেখানে বিনায়ক দামোদর সভারকারকে 'সমকামী' আখ্যা দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। বুকলেটে বলা হয়েছে সাভারকরের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের। মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের একটি অনুষ্ঠনে সেবাদলের সদস্যদের মধ্যে বিলি করা হয়েছে একটি বুকলেট। যার নাম 'সাভরকর কিতনে বীর'। সেখানেই এই দাবি করা হয়।
সাভরকরের সঙ্গে নাথুরাম গডসের সম্পর্ক ছাড়াও সেখানে বলা হয়েছে, আরএসএস ও সাভরকরই ভারত ভাগের জন্য দায়ী। এছাড়াও সংখ্যালঘুদের নিয়ে একাধিক বিতর্কিত বিষয় সেই বুকলেটে উঠে এসেছে বলে খবর। কংগ্রেসের সেবাদলের ওই বইটিতে লেখা রয়েছে, গেরুয়া শিবির ন্যাৎসি ও ফ্যাসিবাদ থেকে অনুপ্রাণিত হয়। ১৯৩০ সালে ও ১৯৪০ সালে আরএসএস হিটলার ও মুসোলিনির থেকে অনুপ্রাণিত হয়।
এদিকে এই বুকলেটের প্রসঙ্গটি সামনে আসতেই সেনার মুখপাত্র কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, 'বীর সাভারকর এক মহান ব্যক্তি ছিলেন। একটি রাজনৈতিক দলের একাংশ ক্রমাগত তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলে যায়। এতেই স্পষ্ট যে তাদের মাথায় কতটা ময়লা জমে।' কংগ্রেসের এই বুকলেটের বিরোধিতা করে বিজেপিও বলে, 'বীর সাভারকারকে ইন্দিরা গান্ধী শ্রদ্ধা করতেন বলেই সাভারকারের নামে তৈরি হয়েছে স্ট্যাম্প। ফলে কংগ্রেস ওই বুকলেটে যেন 'তথ্য সঠিক' করে প্রকাশ করে।'