সাতমাস পর কাশ্মীর উপত্যকায় খুলল স্কুল, খুশি পড়ুয়ারা
সাতমাস পর কাশ্মীর উপত্যকায় খুলল স্কুল, খুশি পড়ুয়ারা
গত বছরের ৫ আগস্ট জম্মু–কাশ্মীরের ওপর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ অবলুপ্তির পর গত সাতমাস ধরে বন্ধ ছিল উপত্যকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। সোমবার থেকে কাশ্মীরের সব স্কুল খুলে গেল। সরকার যদিও চেষ্টা করেছিল গত বছরের নভেম্বরেই সব স্কুল খুলে দেওয়ার কিন্তু কিছু স্কুলই তারমধ্যে খুলেছিল।
সাতমাস বন্ধ স্কুল
সাধারণত স্কুলগুলিতে তিনমাসের জন্য শীতকালীন ছুটি থাকে। কিন্তু গত বছরের আগস্ট থেকে পড়ুয়ারা স্কুলমুখো হয়নি। শীতকালের ছুটির পর নতুন সেশনে স্কুলে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই খুশি পড়ুয়া ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ২০১৯ সালের আগস্ট থেকে স্কুল বন্ধ হওয়ার পর পড়ুয়াদের অনেকটা সময় নষ্ট হয়েছে এবং তারা স্কুলে আসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল অনেকদিন ধরেই। ছাত্র-ছাত্রীরা আর কোনওভাবেই তাদের স্কুল কামাই করতে চায় না।
খুশি পড়ুয়ারাও
একাদশ শ্রেণীর এক পড়ুয়া নিদা তারিক বলেন, ‘আমরা খুবই উত্তেজিত যে এতদিন পর স্কুল খুলেছে। আমাদের অনেকটা সময় নষ্ট হয়েছে। আমরা একাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া এবং স্কুল খোলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।' একই সপর শোনা গেল অন্য এক পড়ুয়া গজন মনিরের গলায়। সে বলল, ‘আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না যে আমরা স্কুলে যাচ্ছি, গত সাতমাসে আমরা স্কুলকে প্রায় ভুলতেই বসেছিলাম এবং আমি এরজন্য একমাসেরও বেশি সময় ধরে প্রস্তুত হচ্ছিলাম। আমরা যেটা স্কুলে শিখি তা অন্য কোথাও শিখতে পারি না।' কিছুজন পড়ুয়া জানিয়েছেন তারাও খুব খুশি স্কুলে এসে। স্কুলে একটা আলাদা পরিবেশ তৈরি হয় এবং সেটা বিরল অভিজ্ঞতা। যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকত তবে স্কুলগুলি খোলাই থাকত। হাদিকা নামের এক পড়ুয়া বলেন, ‘পরিস্থিতি যখন অশান্তিকর ছিল আমরা ভয়ে ছিলাম। কিন্তু এখন স্কুল আবার খুলে গিয়েছে।'
প্রতিক্রিয়া শিক্ষকদের
পড়ুয়াদের পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকারাও খুব খুশি স্কুল খোলার জন্য। অনেক শিক্ষখ-শিক্ষিকারাই গত একসপ্তাহ ধরে স্কুলে এসে পড়ুয়াদের জন্য সব বিষয়টি যাতে প্রস্তুত থাকে তা নিশ্চিত করেছে। রাবিয়া রহমান এক স্কুল শিক্ষিকা বলেন, ‘প্রত্যেক শিশুই পড়াশোনা করতে চায় এবং আমাদের অনেক প্রতিভাবান পড়ুয়া রয়েছে। আমাদের পড়ুয়ারা তৈরি ও আমরাও প্রস্তুত।' দিলবর সিং নামের আর এক শিক্ষক বলেন, ‘পড়ুয়াদের ফিরে আসতে দেখে খুবই খুশি আমরা। স্কুলগুলি গত সাতমাস ধরে বন্ধ ছিল। আমরা চাই অনেক অনেক পড়ুয়ারা স্কুলে আসুক ও তাদের ভবিষ্যত নিশ্চিত করুক।'
স্কুলের সময়
সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, শ্রীনগর পুরনিগমের আওতায় স্কুলগুলির সময়সূচী সকাল ১০টা থেকে দুপুর তিনটে ও কাশ্মীরের স্কুলগুললির সময় সকাল সাড়ে দশটা থেকে দুপুর সাড়ে তিনটে পর্যন্ত।