দুর্নীতি নিয়ে খবর করার জের, স্যানিটাইজার দিয়ে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে মারা হল সাংবাদিককে
বাড়ির মধ্যে জোর করে ঢুকে তিনজন মিলে স্যানিটাইজারের মাধ্যমে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে মেরে দেয় ৩৭ বছরের এক সাংবাদিক ও তাঁর বন্ধুকে। গত সপ্তাহে উত্তরপ্রদেশে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত গ্রাম প্রধানের ছেলে সহ দু’জন।

গত শুক্রবার, রাজেশ সিং নির্ভীক, যিনি লখনউয়ের একটি সংবাদপত্র রাষ্ট্রীয় স্বরূপে লেখালিখি করতেন, তিনি এবং তাঁর ৩৪ বছরের বন্ধু পিন্টু সাহুকে সাংবাদিকের গ্রাম বলরামপুরের বাড়িতে গুরুতর পোড়ার জখম অবসটথায় উদ্ধার করা হয়। একদিকে যখন পিন্টু সাহু ঘটনাস্থলেই মারা যান অন্যদিকে নির্ভীককে নিয়ে যাওয়া হয় লখনউ হাসপাতালে, যেখানে তিনি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মারা যান। মারা যাওয়ার আগে ওই সাংবাদিক হাসপাতালকে জানিয়ে যান যে তিনি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত ও তার ছেলের দুর্নীতি নিয়ে নিয়মিত খবর করতেন। যন্ত্রণায় কাঁদতে কাঁদতে তিনি আড়াই মিনিটের ভিডিওতে বলেন, 'সত্য নিয়ে খবর করার এটাই পুরস্কার’।
ঘটনার তিনদিন পর সোমবার বলরামপুর পুলিশ জানান যে তারা ইতিমধ্যে এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে গ্রাম প্রধানেক ছেলে রিঙ্কু মিশ্র। অন্য অভিযুক্ত হল আক্রম ও তার বন্ধু ললিত মিশ্র। পুলিশ জানিয়েছে যে ওই তিন অভিযুক্ত আগুন ধরানোর আগে আক্রান্তদের অ্যালকোহল ভিত্তিক স্যানিটাইজার শরীরের ওর ঢেলে দেয়। বলরামপুর পুলিশ প্রধান দেব রঞ্জন বর্মা বলেন, 'অভিযুক্তরা এই অপরাধকে প্রথমে দুর্ঘটনা হিসাবে দেখাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অভিযুক্তরা অনেক ভুল করে ফেলেছিলেন এই অপরাধের সময়, যা দেখে মনে হয়েছে এটা ষড়যন্ত্র।’ এই খুনের পেছনে দু’টি উদ্দেশ্য ছিল। এক নির্ভীক একজন সাংবাদিক এবং দ্বিতীয়টি হল পিন্টু সাহুর সঙ্গে রিন্টু মিশ্রের অর্থ প্রদান সংক্রান্ত ঝামেলা ছিল। পুলিশ বলেন, '২৭ নভেম্বর ললিত ও পিন্টুর মধ্যে বিয়ার বারের বাইরে ঝামেলার সৃষ্টি হয়।’ অভিযুক্তরা ইচ্ছাকৃতভাবে আক্রান্তদের মদ্যপান করান গায়ে আগুন ধরানোর আগে। পুলিশ জানিয়েছে এই ঘটনায় আরও অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে এবং প্রয়োজনে গ্রেফতারও করা হবে।

আম্বানি পরিবারের সম্পত্তি এশিয়ার দ্বিতীয় ধনী পরিবারেরও দ্বিগুণ! তাক লাগানো পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে