অনলাইন প্রেমের মর্মান্তিক পরিণতি
বান্ধবীর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট চলার সময়েই মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে পটনায়।
বান্ধবীর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট চলার সময়েই মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে পটনায়।
পুলিশ জানিয়েছে, সাইচকের বাসিন্দা আকাশ কুমার ওরফে বান্টি নামে ওই যুবক আত্মহত্যা করেছেন। বিয়ের জন্য তার বান্ধবী বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলার জন্য চাপ দিচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে।
বিহারে এই ধরনের আত্মহত্যার এটি দ্বিতীয় ঘটনা। ২০১৫-তে পটনার কলেজ ছাত্র ফেসবুক লাইভ চলাকালীন ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করে।
ফুলওয়ারি শরিফের ডিএসপি রামাকান্ত প্রসাদ জানিয়েছেন, যুবকের ফোন পরীক্ষা করে তাঁর হতবাক। বান্ধবীর সঙ্গে ভিডিও চ্যাট বলার সময়েই ওই যুবক আত্মহত্যা করেন। ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছে ওই বান্ধবীও। সে জানিয়েছে ভিডিও চ্যাট চলার সময়েই বান্টি তর্কে জড়িয়ে পড়ে। সেই সময়ই সে বন্দুক বের করে মাথায় ঠেকিয়ে দেয়।
বান্টি ও তার বান্ধবী ভিডিও চ্যাট শুরু করেছিল, রবিবার গভীর রাতে। গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে সোমবার ভোররাতে। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ভিডিও চ্যাট চলার সময় বান্টি তার বান্ধবীকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। যখনই বান্ধবী আরও সময় চায়। সেই সময়ই আত্মহত্যার হুমকি দেয় বান্টি। বান্ধবী বান্টিকে বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় বলে জানিয়েছে।
জেরার বান্ধবী পুলিশকে জানিয়েছে, যখনই সে ভিডিও চ্যাটে বান্টিকে বন্দুক বের করতে দেখে, তখনই বান্টির ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের খবর দেয়। এবং তাঁদের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানায়। কিন্তু কেউ বান্টির কাছে যাওয়ার কাছেই বন্দুক বের করে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করে।
বান্টির আত্মীয়রাও ঘটনাটি দুর্ঘটনা বলেই বর্ণনা করেছেন। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, একটা সময়ে বান্টির বান্ধবী বুঝিয়ে বন্দুক থেকে গুলি বের করতে সফলও হয়েছিল। কিন্তু দুর্ঘটনা বশত ট্রিগারে হাত লেগে যায়। এবং বন্দুকে থাকা গুলি বান্টির মাথায় লাগে।
পুলিশ বান্টির ঘর থেকে গুলি ও বন্দুক উদ্ধার করেছে। বন্দুকের মালিকের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।