ইন্দোরে পৌঁছনোর পরেই রাহুল গান্ধীকে নিশানা করে বোমা হামলার হুমকি, তদন্তে ক্রাইম ব্রাঞ্চ
ইন্দোরে পৌঁছনোর পরেই রাহুল গান্ধীকে নিশানা করে বোমা হামলার হুমকি, তদন্তে ক্রাইম ব্রাঞ্চ
রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে পৌঁচেছে। শুক্রবার ইন্দোরে পৌঁছনোর পরেই রাহুল গান্ধী বোমা হামলার হুমকি পান। ইন্দোরের একটি মিষ্টি দোকানে রাহুল গান্ধীকে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া একটি চিঠি কেউ রেখে গিয়েছে। তদন্তে নেমেছে ইন্দোরের পুলিশ। সন্দেহভাজনের সন্ধানে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
রাহুল গান্ধীকে হুমকির চিঠি
মিষ্টির দোকানে যে ব্যক্তি রাহুল গান্ধীকে দেওয়া হুমকির চিঠি রেখে গিয়েছেন, তার সন্ধানে ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও ইন্দোর পুলিশ একযোগে তদন্ত শুরু করেছে। মিষ্টির দোকানটি জুনি ইন্দোর থানার একেবারে কাছেই। জুনি ইন্দোর থানার আশেপাশের সিসিটিভি সরোজমিনে খতিয়ে দেখা হয়েছে। পুলিশের তরফে সন্দেহ করা হচ্ছে, ঘটনার সঙ্গে কোনও দুষ্কৃতি যুক্ত থাকতে পারে। পুলিশ ও ক্রাইম ব্রাঞ্চ একত্রে তদন্ত করতে শুরু করেছে। ২৪ নভেম্বর রাহুল গান্ধীর ইন্দোরের খালসা স্টেডিয়ামে রাতে বিশ্রাম নেওয়ার কথা রয়েছে। তার আগেই এই ধরনের হুমকি ইন্দোর পুলিশের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কটাক্ষ হার্দিক প্যাটেলের
প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা হার্দিক প্যাটেল জুন মাসে বিজেপিতে যোগ দেন। তিনি রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রাকে কটাক্ষ করে বলেন, কংগ্রেস জোড়ো কর্মসূচি নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। গুজরাত নির্বাচনকে সামনে রেখে রাহুল গান্ধীর জনসভা সম্পর্কে হার্দিক প্যাটেল বলেন, প্রথমে তো কংগ্রেস জোড়ো যাত্রার প্রয়োজন ছিল। রাহুল গান্ধী গুজরাতের নির্বাচনের আগে এসেছেন। নির্বাচনের পরে রাহুল গান্ধী আর আসবেন না। কারণ গুজরাতের মানুষ কংগ্রেসকে পছন্দ করেন না। হার্দিক প্যাটেল বলেন, আমি কংগ্রেসে ছিলাম। আমি জানি কংগ্রেসের অভ্যন্তরে সারাক্ষণ গুজরাতিদের কটাক্ষ করা হয়। অপমান করা হয়। গুজরাতের মানুষ কখনই কংগ্রেসকে পছন্দ করেনি। ভবিষ্যতেও করবে না। বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের তুলনা হয় না। আমার শুধু একটাই উদ্দেশ্য ছিল, গুজরাতের উন্নয়নের মডেলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আর সেই কারণেই আমি বিজেপিতে যোগ দিয়েছি।
কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা
৭ সেপ্টেম্বর কন্যাকুমারী থেকে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের যাত্রা শুরু হয়েছিল। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে এই যাত্রা শেষ হবে কাশ্মীরে। ভারত জোড়ো যাত্রায় ৩,৫৭০ কিমি পথ অতিক্রম করা হবে। কংগ্রেস আগেই বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, ভারতের ইতিহাসে আগে কখনও কোনও রাজনৈতিক এতটা দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে অতিক্রম করেনি। কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে, ভারত জোড়ো যাত্রা দেশ জুড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের থেকে সমর্থন পাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভারত জোড়ো যাত্রার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
হাইকোর্টে ফের ধাক্কা কমিশনের, অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগে স্থগিতাদেশ আদালতের