রাহুলের এবার 'প্রাইম টাইম মিনিস্টার' কটাক্ষ মোদীকে, পাল্টা তোপ বিজেপি-র
পুলওয়ামা জঙ্গি হামলা নিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে 'প্রাইম টাইম মিনিস্টার' বলে কটাক্ষ রাহুল গান্ধীর। নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে এই নিয়ে টুইটও শেয়ার করেছেন তিনি।
পুলওয়ামা জঙ্গি হামলা নিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে 'প্রাইম টাইম মিনিস্টার' বলে কটাক্ষ রাহুল গান্ধীর। নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে এই নিয়ে টুইটও শেয়ার করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার-ই পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শ্যুটিং-এ ব্যস্ত থাকা নিয়ে 'ফোটো শ্যুট সরকার'- বলে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছিল কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী নিজের টুইটার অ্য়াকাউন্টে রামনগরের জিম করবেট অভয়ারণ্য়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শ্যুটিং-এর ছবি শেয়ার করেছিলেন। এই নিয়ে তীব্র রাজনৈতিক উত্তাপ চড়ে যায়। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবীশঙ্কর প্রসাদ যিনি সংবাদমাধ্যমের খুব কাছের লোক বলে পরিচিত তিনিও মেজাজ হারিয়ে ফেলেন।
এই ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টা কাটেনি তার মধ্যে ফের টুইটারে রাহুল-এর এই 'প্রাইম টাইম মিনিস্টার' কটাক্ষ। বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধী 'ফোটো শ্যুট সরকার' বলে আক্রমণ হেনে অভিযোগ করেছিলেন, পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার ঘটনার খবর পাওয়ার পরও ৩ ঘণ্টা ধরে শ্যুটিং-এ ব্যস্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দেশ তখন ব্যথার সাগরে পর্যবসিত হয়েছে, লোকের হৃদয় ভেঙে পড়ছে শহিদ জওয়ান এবং তাঁদের পরিবার-পরিজনের কথা ভেবে। আর প্রধানমন্ত্রী হাসি-হাসি মুখে জলের ধারে ফোটো শ্যুট করেছিলেন।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শুক্রবার একটি গ্রাফিক্স-কার্ডও পোস্ট করা হয় যেখানে পুলওয়ামার আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার পরের কয়েক ঘণ্টা মোদী ও অমিত শাহ কী করেছিলেন তা দেখানো হয়েছে। নরেন্দ্র মোদী পুলওয়ামা হামলার পরের দিন যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেছিলেনও তাও এই গ্রাফিক্স কার্ডে দেকানো হয়েছে।
पुलवामा में 40 जवानों की शहादत की खबर के तीन घंटे बाद भी ‘प्राइम टाइम मिनिस्टर’ फिल्म शूटिंग करते रहे।
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) February 22, 2019
देश के दिल व शहीदों के घरों में दर्द का दरिया उमड़ा था और वे हँसते हुए दरिया में फोटोशूट पर थे।#PhotoShootSarkar pic.twitter.com/OMY7GezsZN
শুক্রবারও প্রধানমন্ত্রী-কে রাহুল গান্ধীর এই আক্রমণ করা নিয়ে রাজনীতির উত্তাপ ছড়ায়। কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, 'পিডবলুডি অতিথিশালায় বসে সন্ধে সাতটার সময় চা ও সামোসা খাচ্ছিলেন, আর তখন দেশের একটি ঘরেও কেউ কিছু মুখে তুলছিলেন না।'
রাহুল গান্ধীর এই আক্রমণের কড়া জবাব দিয়েছে বিজেপি। টুই করে তারা জানিয়েছে, 'রাহুলজি, আপনার ভুয়ো খবরে ভারত এখন ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। নির্লজ্জের মতো দেশেকে বিভ্রান্ত না করতে সকাল থেকে ছবি শেয়ার করা বন্ধ করুন। আপনি আগে থেকে এই হামলার কথা জেনে থাকতে পারেন, কিন্তু ভারতবর্ষের মানুষ সেদিন সন্ধ্যাতেই এই হামলার কথা জেনেছে। চেষ্টা করুন পরের বার আরও ভালো স্টান্ট দিতে, যেখানে সেনাদের আত্মবলিদান জড়িত নয়।'
आतंक, उन्माद की आड़ लेकर राजनैतिक फायदा उठाने की भाजपा की पुरानी आदत रही है और यही आदत हाल के भयावह पुलवामा आतंकी हमले के बाद भी देखने को मिली#ModiFailsNationalSecurity pic.twitter.com/kCpTvTs3RZ
— Congress (@INCIndia) February 22, 2019
এই টুইটেরও পাল্টা জবাব দিয়েছে কংগ্রেস। টুইটারে তাদের পাল্টা তোপ, 'অসাধারণ চেষ্টা। তবে একমাত্র স্টান্ট যা সকলের নজরে টেনেছে তা হল মোদীজির ফোটোশ্যুট। যা তোলা হয়েছিল ২.৩০টা থেকে বিকেল ৪.৩০টার মধ্যে। (এই সময়ে তিনি হামলার খবর জেনে গিয়েছিলেন)। এবং তারপরে তিনি একটা মিছিলেও অংশ নিয়েছিলেন কিন্তু সেখানে পুলওয়ামা হামলা নিয়ে কিছু বলার প্রয়োজন বোধই করেননি।'
Nice try, but the only one pulling stunts was Modiji during his photoshoot - which took place from 2:30 to 4:30pm (at this point he knew about the attacks) - & then at a rally where he didn't even bother addressing the Pulwama attack. #PhotoShootSarkar https://t.co/nfPsocUtsL https://t.co/8xE7PnAbwl
— Congress (@INCIndia) February 22, 2019
রাজনৈতিক এই বাদানুবাদ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিজেপি-র সম্বিৎ পাত্র। তিনি রাহুল গান্ধীকে তোপ দেগে বলেন, 'রাহুলজী তো জানেনই না যে পুলওয়ামায় আদৌ কোনও জঙ্গিরা হামলা করেছিল কি না। তাহলে তিনি এতকথা কী করে বলছেন। রাহুল গান্ধী এই ড্রামাবাজি বন্ধ করুন। কারণ, এই অহেতুক নাটুকেপনা দেখার মতো সময় কারোর কাছেই নেই।'