পিলিন, হেলেন-এর পর এবার 'লহর', ফের অন্ধ্রে ঘনাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়
রবিবার সকালে আন্দামান সাগরে জন্ম হয়েছে লহর-এর। পিলিন (তাইল্যান্ড) ও হেলেন (বাংলাদেশ)-এর পর লহর-এর নাম করণ করেছে ভারত। এই মুহূর্তে পোর্ট ব্লেয়ার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে অবস্থান করছে লহের। বৃহস্পতিবার অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় এই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘন্টা প্রতি ২৬০ কিলোমিটার থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিশনার সি পার্থসারথি কৃষি ও মৎস্যজীবীদের তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই পিলিন ও হেলেন-এর প্রভাবে অন্ধ্র উপকূলের কৃষিজমি ও বাসযোগ্যভূমির প্রভূত ক্ষতি হয়েছে। এর পর ফের লহর-এর প্রভাবও ভয়ঙ্কর হতে পারে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
এই প্রথমবার না হলেও দু মাসে তিনবার প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের ঘটনা খুব একটা স্বাভাবিক বলে মনে করছেন না আবহাওয়াবিজ্ঞানীরা। এর আগে ১৯৮৪ সালে একইভাবে দুমাসে তিনটি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের ঘটনা ঘটেছিল।
কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানে বারবার অন্ধ্র উপকূলেই এমন তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের কারণ কী? এই প্রশ্নে কার্যত দ্বিধাবিভক্ত আবহাওয়াবিশেষজ্ঞ মহল। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে সমুদ্রতলের উষ্ণায়ণই এই মুহুর্মুহ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কারণ। অন্য দল অবশ্য এখনই কোনও সিদ্ধান্তে আসতে নারাজ।সমুদ্রতলের উষ্ণায়নের কারণেই যে এই ঘূর্ণিঝড় তা এখনও প্রমানিত নয়, এবং এখনই এ বিষয়ে মতামত দেওয়াটা সঠিক নয় বলেই মনে করছেন তারা।
বায়ুমণ্ডলের উপরিস্তরে আচমকা কোনও পরিবর্তন না ঘটলে ফের আর একবার লহর লণ্ডভণ্ড করতে পারে আর এক বার। প্রভাব পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গের একাংশেও। তবে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে তীব্রতা অনেক কম হবে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।