বাংলো খালি করার নোটিস পেয়ে পাল্টা এই 'নেমপ্লেট' ঝুলিয়ে দিলেন মায়াবতী! শোরগোল যোগীরাজ্যে
উত্তর প্রদেশের ৬ জন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁদের সরকারী বাংলো খালি করার নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে যোগী প্রশাসন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই বাংলোগুলি খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উত্তর প্রদেশের ৬ জন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁদের সরকারী বাংলো খালি করার নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে যোগী প্রশাসন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই বাংলোগুলি খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিঠির প্রাপক তালিকায় রয়েছেন বিএসপির মায়াবতীও। তবে নোটিস পাওয়ার ৪ দিনের মাথায়, বাংলোতে একটি 'নেমপ্লেট' টাঙিয়ে কার্যত সকলকে হতবাক করে দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের 'বহেনজি'।
উল্লেখ্য, সরকারী ভবন খালি করা সংক্রান্ত সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ আসার পরই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি পাঠায় উত্তর প্রদেশ সরকার। শুধু তাই নয় ভবন খালি করা নিয়ে চিঠি গিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কাছেও। নোটিস পাঠানো হয়েছে মুলায়ম সিং ও তাঁর পুত্র অখিলেশকে। কিন্তু , মায়াবতীকে নেটিস পাঠাতেই বাংলোতে পাল্টা নেমপ্লেট টাঙিয়ে দিয়েছেন মায়াবতী। নেমপ্লেটে লেখা রয়েছে 'শ্রী কাঁশিরামজি ইয়াদগার বিশ্রামস্থল'। উল্লেখ্য, মায়াবতীর এই প্রাসাদোপম বাংলোতেই রয়েছে প্রাক্তন বিএসপি নেতা কাঁশিরামের বিশাল মূর্তি । অনেকেই মনে করেছিলেন যে বাংলোকে 'বিশ্রামস্থল' হিসাবে চিহ্নিত করে , বাসভবন নাও ছাড়তে পারেন মায়াবতী। তবে সে গুড়ে বালি!
[আরও পড়ুন:নীরব-জালিয়াতির কথা জানত পিএনবি কর্তারা! বিস্ফোরক অভিযোগ সিবিআই চার্জশিটে]
উত্তর প্রদেশের এক সরকারী আধিকারিক জানিয়েছেন নেমপ্লেট টাঙালেও তার সঙ্গে বাসভবন ছাড়ার কোনও সম্পর্ক থাকবে না। আইনি নোটিস মেনেই চলতে হবে বহেনজি কে। কোনওভাবেই সরকারী বাংলোকে বিশ্রামস্থল হিসাবে নামাঙ্কিত করা যাবে না। ওই সরকরী বাসভবন কিছুতেই গেস্ট হাউস বা মিউজিয়ামও হতে পারে না , বলে জানিয়েছেন সরকারী আধিকারিক। ফলে পরবর্তী পর্যায়ে মায়াবতী কোন পদক্ষেপ নেন , সেদিকে তাকিয়ে যোগী প্রশাসন।