কাশ্মীরে পাক জঙ্গিদের সুড়ঙ্গে বিএসএফ অফিসারের প্রবেশ! ইসলামাবাদের মুখোশ খুলল একাধিক 'প্রমাণ'
নাগরোটা কাণ্ডে যে পাকিস্তানের জইশ জঙ্গিদের ভারতে অনুপ্রবেশ করানোর নেপথ্যে পাকিস্তানের হাত রয়েছে, তা একাধিকভাবে প্রমাণিত। ঘটনার পর তদন্তে নেমে নিরাপত্তাবাহিনী এমন কিছু সুড়ঙ্গের খোঁজ পায়, যে পথ ধরে পাকিস্তানের জঙ্গিরা ভারতে প্রবেশ করেছে। এরপরই গোটা ভূস্বর্গ জুড়ে একাধিক সুড়ঙ্গের হদিশে বিএসএফ।
সুড়ঙ্গ ও আস্থানার নির্দেশ
প্রসঙ্গত, বিএসএফ প্রধান রাকেশ আস্থানা সাফ নির্দেশে জানিয়েছেন, গোটা জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে পাকিস্তান সীমান্ত নজরদারি কড়া করতে হবে। সাম্বা ও রজৈরি সেক্টরে আন্তর্জাতিক সীমান্তে সুড়ঙ্গ থাকলে, তা খুঁজে বের করতে হবে বিএসএফকে। এরপরই জোরদার অভিযানে নামে বিএসএফ।
গভীর সুড়ঙ্গ ও এক অমাবস্যার রাতের ঘটনা
নাগরোটা কান্ডের তদন্তের নেমে নিরাপত্তবাহিনী জানতে পেরেছে, যে সুড়ঙ্গ পথে পাকিস্তান থেকে ভারতে জঙ্গিরা এসেছে , সেই সুড়ঙ্গে জঙ্গিরা বহুদিন ধরে ছিল। সেখানে তারা খাওয়ার পর্ব সেরে অমাবস্যার রাতের অন্ধকারে ভারতের আন্তর্জাতিক সীমানা পেরিয়ে ঢুকে পড়ে। এননই তথ্য তদন্তে উঠে আসে।
১৫০ ফুট সুড়ঙ্গ ও সাহসী বিএসএঅফ অফিসার
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বিএসএফএর এক কমান্ডান্ট ভূস্বর্গে পাক জঙ্গিদের ব্যবহৃত একাধিক সুড়ঙ্গ খুঁজে বের করতে গিয়ে, নিজেই এক ১৫০ ফুট গভীর সুড়ঙ্গে ঢুকে পড়েন। দেখা যায়, সেটি পাকিস্তানি জঙ্গিরা তৈরি করেছিল ভারতে প্রবেশের জন্য। মনে করা হচ্ছে, এই সুড়ঙ্গেই নাগরোটায় নিহত ৪ পাক জঙ্গি রাত্রিবাস করে। আর তার প্রমাণও পেয়েছে বিএসএফ।
সুড়ঙ্গের অন্দরে জঙ্গি প্রবেশ ও পাক যোগ
বিএসঅফ ওই ১৫০ ফুট গভীর সুড়ঙ্গ থেকে পাকিস্তানের জঙ্গি যোগ নিয়ে একাধিক তথ্য পেয়এছে ভারত। দেখা গিয়েছে, যে সুড়ঙ্গে ওই ৪ পাকিস্তানি জইশ জঙ্গি আশ্রয় নিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে, সেখানে যে খাবারের প্যাকেট পাওয়া গিয়েছে, তা 'মাস্টার কুইজিন কাপকেক' ব্র্যান্ডের। যা লাহোরে তৈরি হয়েছে বলে প্যাকেটের গায়ে লেখা রয়েছে। যার এক্সপায়ারি ডেট ১৭ নভেম্বর ২০২০। ফলে এটি সদ্য পাকিস্তান থেকে কেনা হয়েছে এই তথ্য স্পষ্ট। আর তা সুড়ঙ্গের ভিতর মিলতেই এটাও স্পষ্ট যে জঙ্গিরা পাকিস্তান থেকে সুড়ঙ্গ পথে ভারতে ঢুকছে।
মদত রয়েছে পাকিস্তানি সেনার!
ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী মনে করছে, পাক সেনার পাকিস্তানি স্পটার ও রেঞ্জাররা এই সপড়ঙ্গ সম্পর্কে অনুপ্রবেশকারীদের অবহিত করেছে। পাক রেঞ্জার রাই গাইড হিসাবে এই সুড়ঙ্গের রাস্তা জঙ্গিদের দেখিয়েছে।
গোয়েন্দা রিপোর্ট কী বলছে?
ভারতের গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, কাশ্মীরের পাকিস্তান সীমান্ত জুড়ে লস্ক, অল বদরের মতো পাকিস্তানি জঙ্গি শিবির সক্রিয় রয়েছে। জানা গিয়েছে, নাগরোটা কাণ্ডে নিহত ৪ জইশ জঙ্গি ১.৫ লাখ ভারতীয় অর্থ নিয়ে অনুপ্রবেশ করে। তাদের কাছ থেকে তার কাটার যন্ত্র, ও চিনের ব্ল্যাক স্টার পিস্তর পাওয়া গিয়েছে। ফলে জঙ্গিদের সঙ্গে পাকিস্তান ও চিনের যোগ রয়েছ বলে খবর।