৩ রাজ্যে বিধ্বস্ত বিজেপি! ফের বাজপেয়ীর স্মরণে মোদী, পরে ক্লাস অমিতের
ফের বাজপেয়ীর স্মরণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন সকালে বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠক হয়। সেখানে পরিস্থিতির মোকাবিলায় মোদী বাজপেয়ীর নাম নেন বলে জানা গিয়েছে।
ফের বাজপেয়ীর স্মরণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন সকালে বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠক হয়। সেখানে পরিস্থিতির মোকাবিলায় মোদী বাজপেয়ীর নাম নেন বলে জানা গিয়েছে। হারের পর বাজপেয়ী কী ভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতেন সেই কথাও তুলে ধরেন তিনি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার তিন রাজ্যে ধাক্কা খাওয়ার পর নতুন পরিকল্পনার খোঁজ করছে বিজেপি।
বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠক
প্রতি সপ্তাহের মতো এই সপ্তাহের বিজেপি সাংসদদের নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বৈঠক হয় পার্লামেন্ট কমপ্লেক্সে।
বিজেপির বৈঠক
সংসদীয় দলের বৈঠক ছাড়াও এদিন বিজেপির সিনিয়র নেতাদেরও বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, যেখানে মূল বক্তা হিসেবে থাকবেন সভাপতি অমিত শাহ। মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং রাজস্থানে দলের হারের কারণ নিয়ে আলোচনা হবে বলে সূত্রের খবর। এছাড়াও ২০১৯-এর সাধারণ নির্বাচনের আগে কর্মীদের মনোবল কীভাবে বাড়ানো যায়, সেই বিষয়টিও আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।
জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক
জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে দিল্লিতে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক বসতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। সারা দেশ থেকে প্রায় ২ হাজারের মতো দলীয় নেতা এই বৈঠকে অংশ নেবেন। আসন্ন সাধারণ নির্বাচন নিয়ে সেখানে আলোচনা চলবে।
বিজেপি
সূত্রে
জানা
গিয়েছে,
এই
বৈঠকগুলি
আগে
থেকেই
ঠিক
ছিল।
এমন
নয়
যে
হারের
ফলেই
তড়িঘড়ি
ওই
বৈঠক
করা
হল।
তবে
তিন
রাজ্যে
হার
নিয়ে
আলোচনা
যে
এই
বৈঠকগুলির
প্রধান
বিষয়
হতে
চলেছে
তা
আর
বলার
অপেক্ষা
রাখে
না।
ভবিষ্যত পরিকল্পনার খোঁজ
বিজেপি সূত্রে খবর বৃহস্পতিবার দলের বৈঠকে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ছাড়াও, রাজ্যগুলির সভাপতি, বিভিন্ন রাজ্যে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের ডেকে পাঠিয়েছেন দলীয় সভাপতি। এপ্রিল-মে মাসের লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা। তবে যেসব রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় ছিল বিশেষ করে মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ে সংগঠনে একটা সীমাবদ্ধতা তৈরি হয়েছিল। কেননা দুই রাজ্যে প্রায় ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিল বিজেপি।
হেরে
যাওয়া
রাজ্যগুলি
ছাড়াও,
অন্য
রাজ্যগুলির
সংগঠনের
পরিস্থিতি
কী,
সে
সম্পর্কে
সভাপতি
অমিত
শাহ
খোঁজখবর
করবেন
বলেও
সূত্রের
খবর।
দলের
সংগঠন
রাজ্যগুলিতে
কোন
পরিস্থিতিতে
রয়েছে,
রাজনৈতিক
চ্যালেঞ্জ,
ভবিষ্যত
পরিকল্পনা
সম্পর্কে
তিনি
রিপোর্টও
জমা
দিতে
বলেছেন
বলে
জানা
গিয়েছে।
তবে কংগ্রেসের তরফে বিজেপির পরিকল্পনা সম্পর্কে কটাক্ষ করা হয়েছে। তাদের মতে এটা কোনওভাবেই সাংগঠনিক ব্যর্থতা নয়। রাজনৈতিক ব্যর্থতা।
(প্রতীকী ছবি সৌজন্য: পিটিআই)