২১ থেকে নেমে ১৬টি রাজ্যে সীমাবদ্ধ বিজেপি, উচ্চাশাকেই দুষছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা
ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী হারের পর ১৬ রাজ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ল বিজেপি। ঝাড়খণ্ডের যে ফলাফল সামনে এসেছে তাতে ৮১ আসনের বিধানসভায় জেএমএম জোট ৪৫ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। মার্চ ২০১৮-তে বিজেপি যেখানে সব থেকে বেশি ২১ টি রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল, এখন ২০১৯-এর ডিসেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ টি রাজ্যে।

২০১৮-র মার্চে বিজেপি কিংবা জোট শাসিত রাজ্য-২১টি
জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাত, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, ত্রিপুরা ছাড়াও উত্তর পূর্বের বেশিরভাগ রাজ্য।

২০১৯-এর ডিসেম্বরে বিজেপি কিংবা জোট শাসিত রাজ্য-১৬টি
গুজরাত, কর্নাটক, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, উত্তর প্রদেশ, বিহার,অসম, ত্রিপুরা ছাড়াও উত্তর পূর্বের বেশিরভাগ রাজ্য। সারা দেশ জুড়ে রাজনৈতিক জমি কমছে বিজেপি। যদিও লোকসভা ভোটের ক্ষেত্রে এই যুক্তি একেবারেই সমর্থনযোগ্য নয়। কেননা ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছিল বিরোধীরা।

২০১৪-তে বিজেপি কিংবা জোট শাসিত রাজ্য-৬টি
২০১৪ সালে সারা ভারতে বিজেপি কিংবা তাদের শরিকদল শাসিত রাজ্য বলতে ছিল গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, গোয়া, অরুণাচল প্রদেশ। ২০১৮-র সেপ্টেম্বর নাগাদ যেসব রাজ্যগুলি বিজেপি কিংবা তাদের শরিকদের হাতের বাইরে ছিল, সেগুলি হল তামিলনাড়ু(এআইএডিএমকে), কেরল(এলডিএফ), কর্নাটক(কংগ্রেস), মিজোরাম( কংগ্রেস), পঞ্জাব(কংগ্রেস), ওড়িশা(বিজেপি), পশ্চিমবঙ্গ(তৃণমূল কংগ্রেস) এবং তেলেঙ্গানা( টিআরএস)।

উচ্চাশাকেই দুষছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন একা লড়াইয়ের উচ্চাশাই পিছিয়ে দিচ্ছে বিজেপিকে। যেই কারণে মহারাষ্ট্রের ক্ষেত্রে ৩০ বছরের শরিক শিবসেনার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। অন্যদিকে, যে শরিক আজসুর সঙ্গে ঝাড়খণ্ডে ৫ বছর ক্ষমতায় ছিল বিজেপি, আসন সমঝোতা নিয়ে বিরোধের কারণে, তার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায়, ভোটের আগে। দুটি ক্ষেত্রেই বিজেপি একা চলার সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক ভাষ্যকারদের একাংশ।
ডিএমকে-র নেতৃত্বে চেন্নাইয়ে সিএএ বিরোধী মিছিলে সামিল ১০,০০০ বাসিন্দা