
লকডাউনের পর ৭৭ শতাংশ ভারতীয় পরিবারের সঙ্গে প্রিয় রেস্তোরাঁতে খেতে যাবেন, দাবি সমীক্ষার
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের জেরে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। লকডাউন ২.০ মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ৩ মে। এরই মধ্যে দেশবাসী এই লকডাউন ওঠার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে রয়েছে। কারণ তাঁরা লকডাউন শেষ হওয়ার পরই রেস্তোরাঁ–হোটেলে খাওয়া–দাওয়া করতে যাবে। সোমবার এক নতুন সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, লকডাউন ওঠার পর সুরক্ষা বিধি নিশ্চিত ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে ৭৭ শতাংশ ভারতবাসী তাঁদের বন্ধু–পরিবারের সঙ্গে তাঁদের প্রিয় রেস্তোরাঁতে নৈশভোজে যেতে চান।

নগদ বা ক্যাশ নয় ডিজিটালে অর্থ প্রদান করবে গ্রাহক
রেস্তোরাঁ টেক প্ল্যাটফর্ম ডাইনআউট এই সমীক্ষা করে জানতে পেরেছে যে ৮১ শতাংশ গ্রাহক এমনি মেনু বা ট্যাবলেট-ভিত্তিক ডিজিটাল মেনুগুলির পরিবর্তে অর্ডার দেওয়ার জন্য তাদের ফোনে একটি কিউআর স্ক্যান করবেন। অন্যদিকে খাওয়া-দাওয়ার পর ৬০ শতাংশ গ্রাহক নগদ বা কার্ডের পরিবর্তে ডিজিটাল অর্থ প্রদান করবেন অপরদিকে ৮৫ শতাংশ ডিজিটাল ভ্যালেটের মাধ্যমে টাকা দেবেন জনবহুল জায়গায় না অপেক্ষা করে। শারীরিক প্রতিক্রিয়ার চেয়ে ডিজিটাল প্রতিক্রিয়া দিতে পছন্দ করছেন ৮৪ শতাংশ মানুষ এবং আরও ভাল ওয়েস্টলিস্ট পরিচালনা করার চাহিদা ৯৬ শতাংশ মানুষের।

যোগাযোগহীন ডাইনিং বাস্তবায়ন
ডাইনআউটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও অঙ্কিত মানহোত্রা বলেন, ‘যদিও লক্ষ লক্ষ ভারতীয়র তাদের পছন্দের খাবারের দ্রুত চাহিদা ফিরে আসবে, তবুও যোগাযোগহীন ডাইনিং বাস্তবায়নের উপায় হিসাবে প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য রেস্তোঁরাগুলির দৃষ্টিভঙ্গিটি দ্রুত বিকশিত করা দরকার, যাতে ভোক্তাদের আস্থা ও বিশ্বাস পুনরুদ্ধার করা যায়।'

লকডাউনের দেশবাসীর প্রিয় খাবার পিৎজ্জা
অধিকাংশ ভারতীয় ইতালিয়ান খাদ্য পিৎজ্জা এই লকডাউনের সময়ও বাড়িতে এনে খাচ্ছেন, একমাত্র চেন্নাই, হায়দরাবাদ ও কলকাতায় এই খাবারের চাহিদা কম, কারণ সেখানে দেশীয় বিরিয়ানির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, লকডাউনের পরে দিল্লিবাসীরা বিগ চিলি, বারবিকিউ নেশান ও সোশ্যালে খেতে যেতে পছন্দ করবেন ও মুম্বইবাসীরা গ্লোবাল ফিউশন, পপ টেটস ও এশিয়া কিচেনে খেতে যাবেন।