খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর দক্ষিণ ভারতে গা ঢাকা দিয়েছে জঙ্গিরা, জানাল তদন্তকারী এনআইএ
বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের পর ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল জেএমবি জঙ্গিরা। এনআইএ-র তরফে দাবি করা হয়েছে তারা দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় গা ঢাকা দিয়েছে।
বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের পর ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল জেএমবি জঙ্গিরা। এনআইএ-র তরফে দাবি করা হয়েছে তারা দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় গা ঢাকা দিয়েছে। জএমবি জঙ্গি জাহিদুল ইসলামকে জেরা করে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছেন এনআইএ তদন্তকারীরা। গত ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে এনআইএ হেফাজতে রয়েছে জাহিদুল।
২০১৪ সালে ২ অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছিল একটি বাড়ি। তাতে দু'জনের মৃত্যু হয়। বিস্ফোরণের কারণ সন্ধানে গিয়ে উঠে আসে বিস্ফোরক তথ্য। সেখানে নাশকতা চালানোর জন্য বিস্ফোরক তৈরি করত জামাত উল মুজাহিদিন বাংলাদেশের জঙ্গিরা। সেই ঘটনায় ১৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে এনআইএ। তার মধ্যে বাংলাদেশের নাগরিকও ছিল। আদালতে সকলেই নিজেদের দোষ স্বীকার করেছে। কিন্তু তাতেই মামলা শেষ হয়নি।
জেএমবি জঙ্গিরা এই ঘটনার পর দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে আত্মগোপন করেছে বলে জানিয়েছেন। সম্প্রতি এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার জেএমবি জঙ্গি জাহিদুল ইসলাম। দক্ষিণ ভারতের একাধিক জায়গার নামও জানিয়েছে সে। আটিবেলে, কাডুগোড়ি, কে আর পূরম, চিক্কভনাভরা, শিকারিয়াপালায়া এমনকী বেঙ্গালুরুর ইলেকট্রনিক সিটিতেও আত্মগোপন করেছে জঙ্গিরা।
[মির্জার ফোনের ওপারে কি সেদিন কোনও প্রভাবশালী ছিলেন! বৃহত্তর কোন ষড়যন্ত্রের খোঁজে নামছে সিবিআই]
এনআইএ-র তদন্তকারীরা বেঙ্গালুরুর ইলেকট্রনিক সিটির জঙ্গি ডেরায় হানা দিয়ে আইইডি তৈরির বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে। এছাড়াও বাংলায় লেখা কাগজের টুকরো। ডিজিটাল ক্যামেরা, রূপোর সামগ্রি। বেঙ্গালুরুতে কয়েকটি জায়গায় ডাকাতি করে এগুলি সংগ্রহ করেছিল তারা।
[ ম্যাথুকে মির্জার কাছে 'রেফার' করা মুকুল রায়ের কী প্রতিক্রিয়া গ্রেফতারি নিয়ে]