কেরল, পাঞ্জাবের পর সিএএ বিরোধী প্রস্তাবনা পেশের পথে হাঁটতে পারে মহারাষ্ট্র
কেরল, পাঞ্জাব ইতিমধ্যেই তাদের বিধানসভায় পাশ করিয়েছে সিএএ বিরোধী রেজোলিউশন। এবার সেই পথেই হাঁটতে পারে মহারাষ্ট্র। এমনটাই জানালেন মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের মুখপাত্র রাজু ওয়াঘমারে। তিনি বলেন, 'সিএএ উস্যুতে আমরা ইতিমধ্যেই আমাদের মতামত জানিয়ে দিয়েছি। রাজ্যে আমাদের দলনেতা বালাসাহেব থোরাটও এই বিষয়ে স্পষ্টীকরণ করেছেন। এমন কী মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেও বলেছেন যে তারা সিএএ-র বিরোধিতা করছেন। রেজোলিউশন পেশের বিষয় যেখানে আসছে, সেখানে জোটের তিন দলের শীর্ষ নেতারা বৈঠকে বসবেন। এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'
সিএএ নিয়ে স্পষ্ট নয় শিবসেনা
নতুন নাগরিকত্ব সংশোধিত আইনের শর্ত, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ বা তার আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে যে সমস্ত অমুসলিম শরণার্থীরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের প্রত্যেককেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। অর্থাৎ, হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ, পারসি বা জৈন ধর্মের যেই লোকেরা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে থেকে ভারতে বসবাস করেছেন, তারা ভারতের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন। বিলটি লোকসভায় ৩১১-৮০ ব্যবধানে পাশ হয়। এরপর রাজ্যসভায় এটি পাশ হয় ১২৫-৮২ ব্যবধানে। প্রসঙ্গত, লোকসভায় সিএএ-র পক্ষে ভোট দিলেও রাজ্যসভায় ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে শিবসেনা।
'কোনও রাজ্য বলতে পারে না যে সংসদে পাস হওয়া আইন মেনে চলব না'
এর আগে শনিবার কেরলের কোঝিকোড়ে কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল বলেন, 'কোনও রাজ্য বলতে পারে না যে সংসদে পাস হওয়া আইন মেনে চলব না। বলা হচ্ছে আমরা রাজ্য স্তরের আধিকারিকদের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করতে দেব না। আমি জানি না এটা সম্ভব কিনা। এটা একটা ধূসর এলাকা। সাংবিধানিক ভাবে কোনও সরকারের পক্ষে এটা বলা কঠিন যে, আমি সংসদে পাস হওয়া আইন মেনে চলব না।' তবে তিনি বলেন রাজ্য সরকারের কাছে বিধানসভায় রেজোলিউশন পাশ করে সিএএ-কে প্রত্যাহার করার আর্জি জানানো হতে পারে।
কেরল, পাঞ্জাবে আগেই পাশ হয়েছে প্রস্তাবনা
দেশ জুড়ে বিতর্কের মধ্যেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাতিলের প্রস্তাব পাশ হয় কেরল বিধানসভায়। প্রস্তাবনার পক্ষে ভোট দিয়েছে শাসক এলডিএফ ও বিরোধী ইউডিএফ। কেরালা বিধানসভায় রয়েছেন মাত্র ১ জন বিজেপি বিধায়ক। একমাত্র তিনি প্রস্তাবনার বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। এরপর কংগ্রেস শাসিত অমরিন্দর সিংয়ের পাঞ্জাব সরকারও বিধানসভায় নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রস্তাবনা পাশ করায়।