
কাশী-র পর এবার মথুরা, কৃষ্ণ জন্মভূমি -শাহী ইদগাহ মসজিদ সিল করার দাবি নিয়ে কোর্টে আবেদনকারী
হিন্দু ধর্মের মানুষদের বড় অংশের কাছে জনপ্রিয় একটি স্লোগান হল, 'অযোধ্যা তো ঝাঁকি হ্যাঁয়, কাশী মথুরা অভি বাকি হ্যায়' হিন্দিতে বলা এই স্লোগানটির বাংলা করলে দাঁড়ায়, 'অযোধ্যা তো শুধু যাত্রা শুরু, এখনও কাশী বিশ্বনাথ (বারাণসী) ও মথুরায় কৃষ্ণ জন্মভূমি এখনও বাকি আছে!'

কাশীর পর নতুন লক্ষ্য মথুরার মসজিদ!
কিন্তু বাকি কি আর সত্যিই আছে? ২০২০ তে রামমন্দির নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার পর ২০২২ এ বারাণসী আদালতের নির্দেশে কাশী বিশ্বনাথ সংলগ্ন জ্ঞানব্যাপী মসজিদে সমীক্ষা ও শিবলিঙ্গ উদ্দার হওয়ার ৪৮ ঘন্টা পেরনের আগেই এবার মথুরায় কৃষ্ণ জন্মভূমিতে শাহী ইদগাহ মসজিদ সিল করা নিয়ে আবেদন করা হল৷ ইদগাহ মসজিদে সমীক্ষা চালানোর পাশাপাশি মসজিদ শিল করারও দাবি করা হল আবেদনে৷ মথুরা আদালত এই আবেদনের শুনানির জন্য ১ লা জুলাই তারিখ দিয়েছেন!

কৃষ্ণ জন্মভূমি নিয়ে ন'টি মামলা!
মঙ্গলবার মথুরা আদালত বলেছে, মহেন্দ্র প্রতাপ সিং কর্তৃক শাহী ইদগাহ মসজিদ সিল করার আবেদনের পরবর্তী শুনানি ১ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে মহেন্দ্র প্রতাপ সিং মথুরার সিভিল জজ সিনিয়র ডিভিশনে শাহী ইদগাহ সিল করতে এবং সেখানে নিরাপত্তা মোতায়েন করতে আবেদন করেছে৷ তাঁর দাবি মসজিদে থাকা প্রাচীন হিন্দু ধর্মীয় প্রতীকগুলি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করতে। এর আগে ১২ মে, এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ মথুরা আদালতকে শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমি-শাহী ইদগাহ মসজিদ বিতর্কের সমস্ত মামলা চার মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়ছে। আবেদনকারী নারায়ণী সেনার জাতীয় সভাপতি মনীশ যাদবের দায়ের করা আবেদনের ভিত্তিতেই হাইকোর্টের এই নির্দেশ এসেছে। আবেদনকারী তার আবেদনে মামলাটির দ্রুত নিষ্পত্তির আবেদন করেছিলেন। প্রসঙ্গত, শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি ও শাহী ইদগাহ মসজিদের ঘটনায় মথুরার আদালতে এ পর্যন্ত ন'টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কৃষ্ণ জন্মভূমি সংলগ্ন ইদগাহের জায়গার মালিকানা দাবি!
মথুরা জেলা আদালতের বিচারপতি এ বিষয়ে একটি আবেদনের উপরই তাঁর রায় সংরক্ষিত রেখেছেন। আদালত ১ জুলাই এ বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত দেবে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে লখনউয়ের বাসিন্দা রঞ্জনা অগ্নিহোত্রী শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমির ১৩.৪৭ একর জমির মালিকানার দাবিতে মামলা করেছিলেন। তার আইনি মামলায় অগ্নিহোত্রী শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমিতে নির্মিত শাহী ইদগাহ মসজিদ অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। মথুরা আদালতে দায়ের করা মামলায় ভগবান কৃষ্ণের জন্মস্থানের কাছে কাটরা কেশব দেব মন্দিরের ১৩.৩৭ একর জায়গাতে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের নির্দেশে ১৬৬৯-৭০ সালে নির্মিত একটি মসজিদ অপসারণের দাবি করা হয়েছে। এ বিষয়ে উভয় পক্ষের বক্তব্যের শুনানি ৬ মে শেষ হয়েছে এবং জেলা আদালতের বিচারপতি রায় সংরক্ষণ করেছেন৷

শেষ পর্যন্ত আশঙ্কাই সত্যি, দল ছাড়লেন হার্দিক প্যাটেল, গুজরাত ভোটের আগে বড় ধাক্কা কংগ্রেসের