'জল্লিকাট্টু' কে ছাড় দিতেই 'কাম্বালা' নিয়ে আন্দোলনের পথে কর্ণাটক!
মূলত 'মোষ দৌড়'হল এই কাম্বালা। কর্ণাটক হাইকোর্টের তরফে এই খেলায় স্থগিতাদেশ জারি করা হয়। ফের একবার এই খেলাকে ফিরিয়ে আনতে এবার আন্দোলনের রাস্তায় হাঁটতে চলেছে কর্ণাটকের কাম্বালা বিষয়ক কমিটি গুলি।
বেঙ্গালুরু, ২২ জানুয়ারি : ষাঁড়কে ধরে কাবু করার উৎসব জাল্লিকাট্টু। তামিলনাড়ুর ঐতিহ্যপূর্ণ এই খেলাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা নিয়ে এই ক'দিনে তোলপাড় হয়েছে গোটা দেশ। কোথাও প্রতিবাদ কোথাও সমর্থনে জল গড়ায় অনেক দূর পর্যন্ত। প্রধানত উত্তাল হয়ে ওঠে দক্ষিণ ভারত। শেষমেশ এই ঘটনায় ইতিবাচক ভাবে তামিলনাড়ু সরকার এগোনোর পরে, এবার কর্ণাটকের 'কাম্বালা'কে ফের একবার চালু করতে চায় কর্ণাটকের 'কাম্বালা কমিটি'। মূলত, 'কাম্বালা ' একটি মোষ দৌড়ের খেলা।
গত বছরে কর্ণাটক হাইকোর্টের তরফে এই খেলায় স্থগিতাদেশ জারি করা হয়। আর ফের একবার এই খেলাকে ফিরিয়ে আনতে এবার আন্দোলনের রাস্তায় হাঁটতে চলেছে কর্ণাটকের কাম্বালা বিষয়ক কমিটিগুলি। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই তাদের এই আন্দোলন শুরু হতে পারে বলে খবর। ইতিমধ্যেই তারা আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি স্থির করা নিয়ে ম্যাঙ্গালুরুতে বৈঠকে বসতে চলেছে।
এখন আপনার মনে হতেই পারে কী এই কাম্বালা ? মূলত 'মোষ দৌড়' ই হল এই কাম্বালা। কর্ণাটকের সীমান্তবর্তী বহু জায়গায় এই ঐতিহ্যপূর্ণ খেলা হয়ে থাকে। নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত হচ্ছে এই খেলার মরশুম। এই দৌড়ে অংশ নেয় কমপক্ষে ৪৫ টি মোষ। জোড়া দুটি মোষকে ক্ষেতের ভিতরের কাদা দিয়ে দৌড় করানো হয় এই খেলায়। যাতে তারা তাড়াতাড়ি দৌড়ায় ,তার জন্য তাদের মালিকরা হাতে চাবুক নিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণ করে। দৌড়ের জন্য মোষদের উপযুক্ত করতে কোথাও কোথাও আলাদা 'সুইমিং পুল'ও তৈরি করা হয়।
এদিকে এই উৎসবের মাধ্যমে পশুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে এই প্রেক্ষিতে, বিষয়টির প্রতিবাদ করেন মানেকা গান্ধী সমেত বহু পশুপ্রেমী ও সংগঠন। এরপর জাল্লিকাট্টু নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতে কর্ণাটক হাইকোর্টে পিটিশন দায়ের করে 'পেটা'। আর সেই ঘটনার কথা মাথায় রেখেই কর্ণাটক হাইকোর্ট গত বছরের নভেম্বরে গোটা বিষয়ে আপাতত স্থগিতাদেশ ঘোষণা করে।