শুধু রবিশঙ্কর প্রসাদ নন! সাময়িক সময়ের জন্যে বন্ধ হয়ে যায় শশী থারুরের অ্যাকাউন্টও
টুইটার নিয়ে বিতর্ক লেগেই রয়েছে! শুক্রবার দুপুরে হঠাত করেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকে খোদ তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্র
টুইটার নিয়ে বিতর্ক লেগেই রয়েছে! শুক্রবার দুপুরে হঠাত করেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকে খোদ তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের টুইটার অ্যাকাউন্ট। যা নিয়ে রীতিমত সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি।
গত কয়েকমাস যাবত টুইটারের সঙ্গে কার্যত সংঘাতের রাস্তায় মোদী সরকার। আর এই সংঘাতের আবহে গত কয়েকদিন আগে সমস্ত অ্যাকাউন্ট থেকে নীল টিক তুলে নেয় সোশ্যাল মিডিয়া এই প্লাটফর্মটি। যা নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়।
আর এই রেশ কাটতে না কাটতে রবিশঙ্কর প্রসাদের টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেয়। আর এই বিতর্কের মধ্যে আরও বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর।
তাঁর দাবি, রবিশঙ্কর প্রসাদের সঙ্গে যা ঘটেছে তাঁর সঙ্গেও টুইটার একই ঘটনা ঘটিয়েছে। থারুরের দাবি, রাশপুতিনের একটি গান সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করার পর কপি রাইট ভায়োলেশন হয়েছে বলে টুইটার দাবি করে। এবং সঙ্গে সঙ্গে তাঁর অ্যাকাউন্টটি ব্লক করে দেয়। International Federation of the Phonographic Industry-কয়েক বছর আগে একটি আলোচনা সভা করেন।
সেখানে অন্যতম বক্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শশী থারুরও। আর এই সংস্থাই কংগ্রেস এই নেতার শেয়ার করা ভিডিও নিয়ে কমপ্লেন করে। আর এরপরেই সেটিকে ব্লক করে দেয় জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া এই প্লার্টফর্মটি। অন্যদিকে টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে কার্যত স্তম্ভিত খোদ রবিশঙ্কর প্রসাদ।
তিনি জানিয়েছেন, টুইটারের তরফে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা ইনফরমেশন টেকনোলজির (ইন্টার মিডিয়ারি গাইডলাইন অ্যান্ড ডিজিটাল মিডিয়া এথিক্স কোড) এর ৪ নম্বর আইন ভেঙেছে।
আগে কোনও নোটিস না দিয়ে এভাবে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা নিয়ে ক্ষভে ফেটে পড়েন মন্ত্রী। কার্যত একই মত কংগ্রেস নেতা শশী থারুরেরও। তাঁর দাবি, টুইটার যা ইচ্ছা তাই করছে।
উল্লেখ্য, সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলির জন্য একাধিক গাইড-লাইন দেওয়া হয়েছে তথ্যপ্রজুক্তি আইন মন্ত্রকের তরফে। ভারতে ব্যবসা চালাতে গেলে এই সমস্ত নিয়মকে মানতে হবে। অন্যদিকে তথ্যপ্রযুক্তি আইন সংক্রান্ত এক্ট৮ই পার্লামেন্টারি কমিটির মাথায় রয়েছেণ শশী থারুর।
আর সেখানে থাকার দরুন টুইটারের কাছে এই সনহক্রান্ত তথ্য তিনি তলব করবেন বলে জানিয়েছেন। কীসের ভিত্তিতে তাঁর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল সে বিষয়ে তথ্য চাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের শুরু দিকে সেই গাইডলাইন প্রকাশ করার পর ৩ মাস সময় দেওয়া হয় দেশের মাইক্রোব্লগিং সাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে। এই সময়ের মধ্যেও তারা অবস্থান না জানানোয়, সরকার কড়া মনোভাব নেয়।
তারপরই টুইটার সহ একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া সাইট নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে।