১২২ বছরের মধ্যে উষ্ণতম এপ্রিল! সব থেকে গরমের মাস নিয়ে সতর্কবার্তা আবহাওয়া দফতরের
১২২ বছরের মধ্যে উষ্ণতম এপ্রিল! সব থেকে গরমের মাস নিয়ে সতর্কবার্তা আবহাওয়া দফতরের
এপ্রিল (april) শেষ হয়ে আরও একমাস এগিয়ে মে। এই মাসেও থাকতে পারে তাপপ্রবাহের (heat wave)অস্বস্তি। তবে ফেলে আসা এপ্রিল গত ১২২ বছরের মধ্যে উষ্ণতম (hottest) ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। উত্তর-পশ্চিম এবং মধ্য ভারতের গড় তাপমাত্রা যথাক্রমে ছিল ৩৫.৯ এবং ৩৭.৭৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মে মাসের স্বাভাবিকে থেকে বেশি থাকবে তাপমাত্রা
আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছেন, দেশের উত্তর-পশ্চিম এবং পশ্চিম-মধ্য অংশ যেমন গুজরাত, রাজস্থান, পঞ্জাব, হরিয়ানায় মে মাসেই তাপমাত্রা স্বাভাবিকে থেকে বেশি থাকবে। তিনি আরও বলেছেন, মে মাসে রাতের তাপমাত্রা বেশি হবে। তবে এর ব্যতিক্রমও আছে। দক্ষিণ ভারত এই ব্যতিক্রমী অংশের মধ্যে পড়তে চলেছে।
তাপমাত্রা ছাড়াতে পারে ৫০ ডিগ্রি
আবহাওয়া
দফতরের
তরফে
বলা
হয়েছে
মে
মাসেই
দেশের
কোনও
কোনও
জায়গার
তাপমাত্রা
৫০
ডিগ্রি
সেলসিয়াস
ছাড়িয়ে
যেতে
পারে।
কেননা
এই
মে
মাস
উষ্ণতম
মাস
বলেই
পরিচিত।
তবে
মে
মাস
শুধু
উষ্ণতমই
থাকবে
না,
এই
মাসের
গড়
বৃষ্টিপাত
স্বাভাবিকের
থেকে
বেশি
হবে
বলেও
পূর্বাভাস
দিয়েছে
হাওয়া
অফিস।
তবে
দেশের
উত্তর-পশ্চিম,
উত্তর-পূর্ব
ভারত
এবং
দক্ষিণ
ভারতের
একেবারে
প্রান্তে
মে
মাসের
বৃষ্টিপাত
স্বাভাবিকের
থেকে
কম
হবে
বলেই
জানিয়েছে
আবহাওয়া
দফতর।
মার্চ
ও
এপ্রিলের
বেশি
তাপমাত্রাই
বর্তমান
আবহাওয়ার
জন্য
দায়ী
বলেই
জানানো
হয়েছে
আবহাওয়া
দফতরের
তরফে।
মার্চ ও এপ্রিলে বৃষ্টিতে ঘাটতি ছিল
আবহাওয়া
দফতর
জানিয়েছে
গত
মার্চে
উত্তর-পশ্চিম
ভারতে
বৃষ্টিপাতে
ঘাটতি
ছিল
প্রায়
৮৯
শতাংশ।
এবং
এপ্রিলে
এই
ঘাটতির
পরিমাণ
ছিল
প্রায়
৮৩
শতাংশের
মতো।
মূলত
দুর্বল
ও
শুষ্ক
পশ্চিমী
ঝঞ্ঝার
কারণেই
এই
পরিস্থিতি
বলে
জানানো
হয়েছে।
দেখা
গিয়েছে
উত্তর
ভারতে
গত
যে
ছটি
পশ্চিমী
ঝঞ্ঝা
আঘাত
হেনেছে
সেগুলির
বেশিরভাগই
ছিল
দুর্বল।
এইসব
পশ্চিমী
ঝঞ্ঝা
হিমালয়ের
উঁচু
অংশে
সরে
গিয়েছে।
তবে
গত
তিনটি
পশ্চিমী
ঝঞ্ঝা
দিল্লিতে
ঝোড়ো
হাওয়া
এবং
রাজস্থানে
ধূলোর
ঝড়
তৈরি
করেছিল।
১২২ বছরে চতুর্থ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
এবার এপ্রিলে সারা ভারতের গড় তাপমাত্রা ৩৫.০৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ১২২ বছরের মধ্যে চতুর্থ সর্বোচ্চ। আর গত মার্চ ছিল ১৯০১ সালের পর থেকে ভারতের ইতিহাসে উষ্ণতম মার্চ। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই দেশের উত্তর পশ্চিম অংশ এবং পশ্চিম অংশে তীব্র তাপপ্রবাহের সম্মুখীন। শুক্রবার পঞ্জাব ও হরিয়ানায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকে থেকে কয়েকট ডিগ্রি বেশি। ওই দিন গুরুগ্রামে তাপমাত্রা ছিল ৪৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার দিল্লির তাপমাত্রা ছিল ৭২ বছরের মধ্যে উষ্ণতম এপ্রিল। পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা-সহ বিভিন্ন রাজ্যে স্কুল বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।