
নাড্ডার নেতৃত্ব নিয়ে উঠছে প্রশ্ন, হিমাচল ভোট নিয়ে জোর তরজা বিজেপি শিবিরে
দলের অবস্থা খুব একটা ভাল নেই হিমাচল প্রদেশে। তার মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিধানসভা ভোটের তোরজোর। গতমাসেই উপনির্বাচনে কংগ্রেসের কাছে গোহারা হেরেছে বিজেপি। মান্ডির মত গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচনে গো হারা হেরেছে বিজেপি। রবিবারই বিজেপির ন্যাশনাল এগজিকিউটিভ কমিটির বৈঠক বসেছিল। সেই বৈঠকে সম্পূর্ণ এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে উপনির্বাচনের হারের প্রসঙ্গ।

উপনর্বাচনে হার
বিধানসভা উপনির্বাচনে হিমাচল প্রদেশে খুব খারাপ ফল করেছে বিজেপি। মাণ্ডির মত গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হাতছাড়া হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। ক্ষমতায় থেকেও মান্ডি, ফতেহপুর, আরকি, জব্বল-কোত্থাকাই সহ একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে গোহারা রেখে বিজেপি। ২ নভেম্বর বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ কয়েছে।তাতে গো হারা হেরেছে বিজেপি। কংগ্রেসের কাছে বিজেপির এই হার চমকে দিয়েছে একাধিক নেতৃত্বকে।

এগজিউটিভ কমিটির বৈঠক
সামনেই হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। রবিবারই বসেছিল তাই নিয়ে বিজেপির এগজিকিউটিভ কমিটির কারণ। মূলত নির্বাচনের রণকৌশল নির্ধারণেই সেই বৈঠক হয়েছিল। কিন্তু এই পর্যালোচনা বৈঠকে উপনির্বাচনে বিজেপির শোচনীয় পরাজয়ের বিষয়টি সম্পূর্ণ এড়িয়ে যাওয়া হয় বলে খবর। কারণ হিসেবে দাবি করা হচ্ছে নাড্ডার নেতৃত্বের ব্যর্থতা। নাড্ডার নেতৃত্বে একের পর এক বিধানসভা নির্বাচনে হার স্বীকার করতে হয়েছে বিজেপিকে। পশ্চিমবঙ্গ,তামিলনাড়ুতে যেমন বিপুল ভোটে হেরেছে বিজেপি। এমনকী কেরলেও শোচনীয় পরাজয়ের মুখ দেখতে হয়েছে বিজেপকে। এবার সামনের ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপি তেমন ভাল ফল করবে বলে মনে করছেন না অনেক নেতাই।

টিকিট দেওয়ার ভুল
হিমাচল প্রদেশ বিজেপির অন্দরেই নাড্ডার নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য নাড্ডার নেতৃত্বের মাঝেই পর পর তিনবার হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদের বদল করা হয়েছে। হিমাচল প্রদেশের বিজেপি নেতাদের অভিযোগ উপনির্বাচনের টিকিট বিলিতে অন্তর্ঘাত রয়েছে। যদিও মান্ডিতে কংগ্রেসের জয়ের অন্যতম কারণ সহানুভূতি বলে মনে করা হচ্ছে। এই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী করেছিল করোনা সংক্রমণের জেরে মৃত হিমাচল প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের স্ত্রী প্রতিভা সিংকে। সেই সহানুভূতির ভোটেই কংগ্রেস জিতেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। আর জব্বল-কোঠাইয়ে বিজেপির হারের কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে নির্দল হিসেবে দাঁড়ানো বিদ্রোহী প্রাক্তন বিজেপি নেতা চেতন ভরগতের কারণে।

চাপ বাড়ছে নাড্ডার উপরে
হিমাচল প্রদেশের উপনিরবাচনের হারের বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও আসলে যে বিধানসভা নির্বাচনে বড় প্রভাব পড়তে পারে সেই ভোট এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। পার্টির অন্দরেই এই নিয়ে জল্পনা চলছে। জেপি নাড্ডার নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করে দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। তাঁরা অনেকেই উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন করে শুরু করে দিয়েছেন। এই নিয়ে দলের অন্দরে বিরোধ জোরাল হলে সমস্যা বিধানসভা উপনির্বাচনে সমস্যা আরও বড় হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
