হিজাব, মুসলিম ব্যবসায়ীর পর এবার কর্ণাটকে আজানে 'মাইক' বন্ধ করতে চায় বজরং দল
হিজাব ব্যান ও মন্দির চত্ত্বরে মুসলিমদের ব্যবসা করতে না দেওয়া নিয়ে এমনিতেই বিতর্কের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে কর্ণাটক। এবার সেখানে মসজিতে আজানের সময় তারস্বরে মাইক বাজানোর বন্ধের দাবি করল বজরং দল। এর আগে কর্ণাটকের শিবামোগ্গা সহ আশেপাশের এলাকার মন্দির সংলগ্ন বাজারে মুসলিম ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারবে না বলে ফতোয়া জারী করেছিল বিশ্বহিন্দু পরিষদ, রামসেনা, বজরং দল, হিন্দু জাগরণ বেদিকার মতো কট্টর হিন্দু সংগঠনগুলি। তারও আগে রাজ্যে উদুপির একটি সরকারি কলেজে বোরখা ও হিজাব পরে ছাত্রীদের প্রবেশ নিসেধ করা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। যদিও সেই বিষয়টিতে হাইকোর্ট হিজাবের বিরুদ্ধেয় রায় দিয়েছে এবং বর্তমানে মুসলিম পারসনাল ল বোর্ড সহ বেশ কয়েকজন মুসলিম মহিলা স্কুল-কলেজে হিজাবের অনুমতি পেতে সুপ্রীম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন৷
তবে শুধু আজানের সময়ই তারস্বরে মাইক বাজানোতেই আপত্তি নয় সঙ্গে অ্যান্টি-হালাল মাংসের পক্ষেও সওয়াল করছে বজরং দল এবং রামসেনার মতো সংগঠনগুলি৷ এরকমই একাধিক হিন্দু সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যদি আজানের সময় প্রতিদিন তারস্বরে মাইক বাজানো বন্ধ না করা হয় তাহলে তারাও পাল্টা প্রতিদিন আজানের সময় মন্দির থেকে হনিমান চালিশা ও ওম নমঃ শিবায় পাঠ করবে৷
পুরো বিষয় নিয়ে কর্ণাটক বিজেপির বরিষ্ঠ নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী কেএস এসরাপ্পা বলেছেন যে, আজানের সময় মন্দির থেকে হনুমান চালিশা চালিয়া প্রতিযোগীতা করতে হবে এমনটা নয়৷ কিন্তু প্রতিদিন আজানে যে তারস্বরে মাইক বাজানো হয় শিশু, রোগী এবং ছাত্রছাত্রীদের অসুবিধা হতে পারে৷ মুসলিম ধর্মের মানুষের ধর্মীয় অভ্যাসের প্রতি আমার কোনও বিরোধিতা নেই কিন্তু তাঁদেরও ভাবতে হবে যে এভাবে যদি হিন্দু, খ্রীষ্টানরাও প্রতিদিন মাইকে তারস্বরে তাদের ধর্মীয় সঙ্গীত পাঠ করে তাহলে বিষয়টি কোথায় পৌঁছবে! এবং এরকম হলে তা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে বিভেদ বাড়াবে৷ যদিও আমাদের সরকার কোনও সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নয়। এবং আমাদের সরকার আজান নিয়ে কোনও নতুন নির্দেশও আনছে না৷