সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা, নারদ মামলায় শুনানির আবেদন তুলে নিল সিবিআই
শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট (supreme court) থেকে নারদ মামলায় (narad sting operation) শুনানির আবেদন প্রত্যাহার করে নিল সিবিআই (মবগ)। এবার এই মামলার শুনানি হবে হাইকোর্টে। যাঁরা সিবিআই অফিস ঘেরাও করেছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে
শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট (supreme court) থেকে নারদ মামলায় (narad sting operation) শুনানির আবেদন প্রত্যাহার করে নিল সিবিআই (মবগ)। এবার এই মামলার শুনানি হবে হাইকোর্টে। যাঁরা সিবিআই অফিস ঘেরাও করেছিল, তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছে সর্বোচ্চ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই-এর আবেদন
কলকাতার হাইকোর্টের তরফে নারদা কাণ্ডে ৪ হেভিওয়েটকে জেলে রাখার বদলে গৃহবন্দী করার আদেশ দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে শুনানির জন্য আবেদন করে । প্রথমে আবেদনে ত্রুটির কারণে তা গ্রহণ করা না হলেও, ফের ত্রুটিমুক্ত আবেদন করা সিবিআই। শীর্ষ আদালতের সামনে সিবিআই বুধবার পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে শুনানির বিরুদ্ধে আবেদন জানায়।
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ
সুপ্রিম কোর্টের অবসরকালীন বেঞ্চের বিচারপতি বিনীত শরণ এবং বিআর গাভাই তাঁদের শুনানির সময় দেখেন কলকাতা হাইকোর্টেপাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ নারদা কাণ্ডের শুনানি করছেন। সিবিআই-এর তরফে সেখানে সওয়াল করছেন সলিসিটর তুষার মেহতা। ফলে তাঁকে বিচারপতিদ্ব বলেন, সুপ্রিম কোর্টে করা আবেদন তুলে নিক সিবিআই এবং সব অভিযোগ হাইকোর্টের সামনেই রাখুক তারা। সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, এই মামলার মেরিট নিয়েও তারা কোনও মন্তব্য করেননি।
ব্যক্তি স্বাধীনতা বজায় রাখতে হবে
প্রকাশিত
খবর
অনুযায়ী
সুপ্রিম
কোর্টের
অবসরকালীন
বেঞ্চের
দুই
বিচারপতি
তাঁদের
শুনানিতে
বলেছেন
কোন
ব্যক্তির
স্বাধীনতাকে
প্রথমে
দেখতে
হবে।
আর
কোনও
ব্যক্তির
স্বাধীনতাকে
অন্য
কিছুর
সঙ্গে
মিশিয়ে
ফেলা
যাবে
না।
উদাহরণ
হিসেবে
বলা
হয়েছে,
সিবিআই
অফিসে
মুখ্যমন্ত্রীর
পৌঁছে
যাওয়া
কিংবা
সাধারণ
মানুষের
ধর্না
দেওয়া।
এর
আগে
সলিসিটর
জেনারেল
১৭
মে
ঘটনার
কথা
উল্লেখ
করেন।
সেখানে
তিনি
বলেন,
সিবিআই-এর
কাজে
বাধা
দেওয়া
হয়েছে।
যা
পরিকল্পিত
বলেও
মন্তব্য
করেন
তিনি।
যদি
নোটিশ
না
দেওয়া
হয়,
তাহলে
সাধারণ
মানুষের
যে
স্বাধীনতা
রয়েছে,
তা
থেকে
বঞ্চিত
করার
সামিল।
সলিসিটর
জেনারেল
সেই
সময়
অভূতপূর্ব
পরিস্থিতির
কথা
বলেন।
যাঁরা আইন হাতে নিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, তারা ধরনায় উৎসাহ দিচ্ছেন না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কিংবা আইনমন্ত্রী যদি আইন হাতে নেন, তার জন্য কি অভিযুক্তরা ভুক্তভোগী হবেন। এরপরেই সুপ্রিম কোর্ট বলে, যাঁরা সেদিন আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছিলেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ আরও বলেছে, যদি অভিযুক্তরা গৃহবন্দি থাকেল তাহলেও তারা সিবিআই-এর নজরদারিতে রয়েছেন। তাই সিবিআই-এর অভিযোগটা ঠিক কি, প্রশ্ন করে সুপ্রিম কোর্ট।
ফের মূল্যবৃদ্ধি, জ্বালানির মূল্যে রেকর্ড, বিভিন্ন শহরে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম একনজরে