
স্কুল শিক্ষকের হত্যার পরে আতঙ্ক! কাশ্মীর উপত্যকা ছেড়ে পালিয়েছে ১০০-র বেশি পণ্ডিত পরিবার
এখন আর পুলিশ কিংবা সামরিক বাহিনীর ওপরে হামলায় থেমে নেই। জঙ্গিরা (terrorist) এখন হামলা চালাচ্ছে কাশ্মীর উপত্যকায় (kashmir valley) থাকা সাধারণ মানুষের ওপরে। যার সর্বশেষ ঘটনাটি মঙ্গলবারের। শ্রীনগরের (srinagar) দক্ষিণে কুলগাঁওয়ের একটি সরকারি স্কুলের বাইরে ৩৬ বছর বয়সী এক শিক্ষিকা রজনী বালাকে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। তারপর থেকে প্রায় ১০০-র বেশি কাশ্মীরি পণ্ডিত (Kashmir Pandit) পরিবার উপত্যকা ছেড়ে পালিয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই সম্প্রদায়েরই এক নেতা।

বারামুলার একটি কাশ্মীরি পণ্ডিত কলোনির পদাধিকারী জানিয়েছেন, ওই এলাকায় বসবাসকারী প্রায় ৩০০ পরিবারের অর্ধেক মঙ্গলবারের ঘটনার পর থেকে পালিয়ে গিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। বাকিরাও হয়তো চলে যাবেন, তাঁরা সরকারের পদক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাঁরা সরকারকে, তাঁদের জন্য কাশ্মীরের বাইরে জায়গা করে দিতে বলেছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পুলিশ শ্রীনগরের একটি এলাকা বন্ধ করে দিয়েছে এবং কাশ্মীরি পণ্ডিত সরকারি কর্মীদের বসবাসের জায়গাগুলির আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে অবশ্য সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়া পরিবারগুলির সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করা বয়নি। তবে গত মাসে লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা কাশ্মীরি পণ্ডিতদের আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন, তাঁদের নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গতমাসে সরকারি অফিসের কর্মী রাহুল ভাট নামে এক কাশ্মীরি পণ্ডিতকে গুলি করে হত্যার পরে ওই সম্প্রদায়ের সরকারি কর্মীরা বিক্ষোভে অংশ নিয়ে দাবি করেছিলেন, কাশ্মীরের বাইরে নিরাপদ জায়গায় তাঁদের স্থানান্তর করতে। অন্যদিকে কাশ্মীর পুলিশের এক পদাধিকারী সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, আগের হত্যাকাণ্ডের পিছনে যারা ছিল, তাদেরকে মেরে দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।
জেলায় জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি, সঙ্গে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি! একনজরে বাংলার আবহাওয়ার পূর্বাভাস