করোনা লকডাউনের পর অফিস ফেরা নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছেন কর্মীরা, জানাল সমীক্ষা
করোনা লকডাউনের পর অফিস ফেরা নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছেন কর্মীরা, জানাল সমীক্ষা
করোনা লকডাউনের কারণে প্রায় দেড় মাস ধরে বন্ধ রয়েেছ একাধিক অফিস। কিছু কিছু অফিসে কাজ শুরু হয়েছে ঠিকই তবে সীমিত সংখ্যক কর্মীদের নিয়ে কাজ হচ্ছে। লকডাউন ওঠার পর যখন কাজে ফিরতে হবে সকলকে তখন কী পরিস্থিতি থাকবে অফিসের এই নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছে বহু মানুষ। সমীক্ষায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
কাজে ফেরা নিয়ে আশঙ্কা
করোনা লকডাউনে দীর্ঘ দিন ধরেই বন্ধ রয়েছে অফিস আদালত। বাড়ি থেকেই কাজ করছেন বেশিরভাগ দফতরের কর্মীরা। এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে যখন আবার স্বাভাবিক হতে শুরু করবে জনজীবন তখন অফিসে ফেরা নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন ৯৩ শতাংশ কর্মী। অফিস, আদালত ঠিক মত স্যানিটাইজ করা হবে কিনা তাই নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা। এখনও পর্যন্ত ৮৫ শতাংশ অফিস স্যানিটাইজ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা
করোনা সংক্রমণে সকলেই নিজেদের সুরক্ষা নিয়ে একটু বেিশ সচেতন হয়ে পড়েছেন। মাইন্ড অ্যাপ অ্যাডভান্স রিসার্চ নামে একটি সংস্থা দেশের ছোট বড় মেট্রো সব শহরের চাকুরিজীবীদের নিয়ে এই সমীক্ষাটি চালিয়েছেন। তারমধ্যে ৮৫ শতাংশ পুরুষ এবং ১৫ শতাংশ মহিলা চাকুরিজীবীর মতামত রয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে ৫৯ শতাংশ কর্মী কাজে যোগ দেওয়ার পর নিজেদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ২৫ শতাংশ কর্মী নিজেদের আর্থিক অবস্থা কী হবে তাই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ১৬ শতাংশ চাকুরিজীবী মনে করেন এই সমস্যা আরও দীর্ঘায়িত হবে।
সুরক্ষা চান চাকুরিজীবীরা
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতিতে কাজে যোগ দেওয়ার আগে নিজেদের সুরক্ষার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে চান ৮৫ শতাংশ চাকরিজীবী। দফতরের পক্ষ থেকে কর্মীদের সুরক্ষায় নির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করা উচিত বলে মনে করেন তাঁরা। কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটির মতো কর্পোরেট হেল্থ রেসপন্সিবিলিিট বাধ্যতামূলক করা উচিত বলে মনে করেন ৯৯ শতাংশ কর্মী।
স্বাস্থ্য আগে
৮২ শতাংশ চাকরিজীবী মনে করেন স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় সংস্থার সবরকম কর্মসূচি এবং নিয়ম মেনে চলবেন তাঁরা। এরমধ্যে আবার ১৮ শতাংশ মনে করেন এর জন্য তাঁদের তথ্য সুরক্ষিত থাকবে সেটা আগে সুনিশ্চত করতে হবে। তাই ৮১ শতাংশ কর্মী মনে করছেন ব্যাচে ব্যাচে কাজ হোক দফতরে। আবার ৭৩ শতাংশ বলছেন এভাবে বাড়ি থেকে কাজই করা হোক এখন।