করোনা মুক্ত হলেও দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে উপসর্গ, থেকে যাচ্ছে শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি ভাব
করোনা সারলেও রোগীর শরীরে দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে উপসর্গ, থেকে যাচ্ছে শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি ভাব
করোনা সংক্রমণ নিয়ে আরও এক উদ্বেগের খবর শোনালেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানাচ্ছে করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠছেন যাঁরা তাঁদের শরীরে থেকে যাচ্ছে একাধিক উপসর্গ। যেমন শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তিভাব। এছাড়াও একাধিক উপসর্গ থেকে যাচ্ছে তাঁদের শরীরে।
করোনা সংক্রমণের পরেও উপসর্গ
করোনা সংক্রমিত হচ্ছেন যাঁরা তাঁরা সুস্থ হয়ে উঠলেও থেকে যাচ্ছে একাধিক উপসর্গ। গোটা বিশ্বেই করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন যাঁরা। তাঁরা সকলেই শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তিভাবের মতো উপসর্গে ভুগছেন। সেটা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। অর্থাৎ প্রায় তিন মাস পর্যন্ত এই উপসর্গগুলি তাঁদের শরীরে থেকে যাচ্ছে।
কেন থাকছে উপসর্গ
করোনা মুক্ত হওয়ার পরেও কেন শরীরে একাধিক উপসর্গ থেকে যাচ্ছে তার কারণ বিশ্লেষণ করতে গিেয় বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন করোনা সংক্রমণের সময় যে অক্সিজেন দেওয়া হয় রোগীদের। সেই অক্সিজেন থেরাপির কারণেই এই উপসর্গগুলি রয়ে যাচ্ছে তাঁদের শরীরে।
মানসিক অবসাদ
করোনা মুক্ত রোগীদের মানসিক অবসাদ বাড়ছে। এর অন্যতম কারণ হল করোনা নিয়ে অযথা ভয় এবং আতঙ্ক। কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রন্ত হলে তাঁকে সমাজে এক ঘরে হয়ে থাকতে হচ্ছে। বন্ধু বান্ধব থেকে আত্মিয় পরিজন সকলেই এড়িয়ে চলছে তাঁকে। আমেরিকা, ইউরোপের দেশগুলির মত উন্নত দেশেও মানুষের মধ্যে এই মনোভাব দেখা যাচ্ছে। যার কারণে সুস্থ হয়ে ওঠার পর মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ছেন তাঁরা।
দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে উপসর্গ গুলি
করোনা মুক্ত রোগীদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তিভাব, মানসিক অবসাদের মতো পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। প্রায় মাস খানেক ধরে এই উপসর্গ গুলি তাঁদের শরীরে থেকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ব্রিটেন, আমেরিকা, ইতালি সহ একাধিক দেশের রোগীদের মধ্যে এই প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
করোনা বাড়ছে
গোটা দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি আবার বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন করোনা ভাইরাস বায়ু বাহিত। হু সেকথা উড়িয়েও দেয়নি। এই নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ বেড়েছে। ৬ মাস কেটে গেলেও করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার পথ পাওয়া যাচ্ছে না।
করোনা আবহে দিশেহারা কলকাতাবাসী! বেসরকারি হাসপাতালেও শয্যার জন্য হাহাকার