তিন আতঙ্কে জেরবার, করোনার পর অসম ভুগছে জাপানিজ এনসেফালাইটিস ও বন্যা নিয়ে
কোভিড–১৯–এর
মহামারি
সামলাতেই
হিমসিম
খাচ্ছে
দেশ।
তার
ওপর
অসমের
বেশ
কিছু
জেলায়
উপদ্রব
হয়েছে
জাপানিজ
এনসেফালাইটিস
(জেই)
এবং
বন্যার।
কিছুদিন
আগেই
এই
অসমে
দেখা
দিয়েছিল
আফ্রিকান
সোয়াইন
ফ্লু।
যাতে
১৫
হাজার
শূকরের
মৃত্যু
হয়েছিল।
সরকারিভাবে জানা গিয়েছে, জেই এবং তীব্র এনসেফালাইটিস সিন্ড্রোমের (এইএস) ৮২টি কেস দেখা গিয়েছে কাছার, ডিব্রুগড়, সোনিতপুর, কামরূপ ও মরিগাঁওতে। যদিও এই রোগে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। অসমের জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মিশন ডিরেক্টর লক্ষ্মন এস বলেন, 'আমাদের কাছে ৭৯টি এইএস ও তিনটি জেই–এর কেসের রিপোর্ট রয়েছে। হাসপাতাল থেকে দু’জন জেই রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা চলছে এবং তাঁরা সুস্থ রয়েছে।’ তবে তিনি জানিয়েছেন যে তৃতীয় জেই রোগী স্থিতিশীল হলেও বেশ কিছু সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। লক্ষ্মণ বলেন, 'অগণিত চ্যালেঞ্জ কিন্তু আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি। বাস্তব চিত্রটি হল প্রাকৃতিক এই রোগের কারণে আমরা অনেককেই বাঁচাতে হয়ত সফল হব না।’
অসমে এর আগেও জেই–এর প্রকোপ দেখা দিয়েছে। গত বছর জেই ও এইএসের সমন্বয়ে এ রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬০০ জনের, যাদের মধ্যে ১৫৪ জন জেই। ২০১৮ সালে শুধুমাত্র জেই–তে মৃত্যু হয়েছে ৯৮ জনের, ২০১৭ সালে ৮৭, ২০১৬ সালে ৯২, ২০১৫ সালে ১৩৫ ও ২০১৪ সালে ১৬৫ জনের মৃত্যু হয়।
এ বছরের প্রথম বন্যা দেখা দিল অবিরাম বৃষ্টিপাত ও বাঁধ থেকে জল ছাড়ার ফলে দুই জেলা বারপেতা ও লখিমপুরের তিনটি গ্রামে। যেখানে ২,৯৮০ জন মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। অসমের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পুথিমারি ও জিয়া ভরালি নদীর জল বিপদসীমা ছাপিয়ে ওই দুই অঞ্চলে বন্যার সৃষ্টি করেছে। লখিমপুরের ১০৫ হেক্টর জমি জলের নীচে চলে গিয়েছে। একটি ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার ফলে নদীর বাঁধ ভেঙে যায়।
শনিবার অসমে ৭০টি কোভিড–১৯ কেস সনাক্ত করা হয়। রাজ্যে বর্তমানে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৩২৯টি। গুয়াহাটির কোয়ারান্টাইন কেন্দ্রে ৪৪টি কেস ধরা পড়ে ও বাকি কেসগুলি অন্যান্য জেলা থেকে সনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার অসমে ৪৯টি কেস ধরা পড়েছে।