কোমা থেকে জেগে উঠেই বোমা ফাটালেন বধূ! সেদিন কারা এসেছিল, পর্দা ফাঁস
দুই শিশু সন্তান-সহ মা গলার নলিকাটা অবস্থায় বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল। তিন বছরের মেয়ের মৃত্যু হলেও অবিশ্বাস্যভাবে বেঁচে গিয়েছিল ১৮ মাসের ছেলে। আর মা চলে গিয়েছিলেন কোমায়।
দুই শিশু সন্তান-সহ মা গলার নলিকাটা অবস্থায় বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল। তিন বছরের মেয়ের মৃত্যু হলেও অবিশ্বাস্যভাবে বেঁচে গিয়েছিল ১৮ মাসের ছেলে। আর মা চলে গিয়েছিলেন কোমায়। সেই কোমা থেকে জোগে উঠে চাঞ্চল্যকর বয়ান দিলেন ওই গৃহবধূ। তাঁর এক বয়ানেই এই নৃশংসকাণ্ডের তদন্ত ঘুরে গেল ১৮০ ডিগ্রি।
দক্ষিণ দিল্লির হাউজ রানি এলাকায় গত ১৭ নভেম্বর ঘটেছিল চাঞ্চল্যকর ঘটনা। মহসিনা নামের ওই গৃহবধূ বেঁচে নেই বলেই ধরে নিয়েছিল বাড়ির সবাই। আর মৃতপ্রায় সেই বধূ কোমা থেকে জেগে উঠেই বোমা ফাটিয়ে দিলেন স্বামীর বিরুদ্ধে। এতদিন এই হত্যাকাণ্ডের মোটিভ কি, কারা জড়িত কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি তদন্তকারীরা।
আর কোমাচ্ছন্ন বধূ জেগে উঠতেই মামলা গেল ঘুরে। এতদিন মহিলার শ্বশুরবাড়ির লোকদের দফায় দফায় জেরা করা হয়েছে। কিন্তু সামনে আসেনি প্রকৃত তথ্য। মেডিকেল রিপোর্টে ক্ষত দেখে অনুমান, ওই মহিলা নিজেই গলা কেটেছিলেন। কিন্তু মহসিনা কোমা থেকে জেগে উঠে জানালেন ১৬ নভেম্বর রাতে কী ঘটেছিল।
তিনি জানান, ওই রাতে স্বামী বাড়ি ফিরে তাকে মারধর শুরু করে। ভোররাতে সামিম ও তার ভাই ঘরে ঢুকে তার মেয়ের গলা কাটার চেষ্টা করে। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে আঙুল কেটে দেয়। তারপর ওরা আমার গলায় ছুরি চালিয়ে দেয়। কোনওক্রমে দৌড়ে বাইরে পালিয়ে যাই। তারপর অজ্ঞান হয়ে যাই।