
সিবিআইয়ের পর দিল্লির আবগারি দফতরে নীতি বাস্তবায়নে দুর্নীতির অভিযোগে চার্জশিট দেবে ইডি
দিল্লির আবগারি দফতরে নীতি বাস্তবায়নে দুর্নীতির অভিযোগে ইডি চার্জশিট দায়ের করতে পারে বলে শনিবার আদালতে জানিয়েছে। ইডির তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ইন্দো স্পিরিট গ্রুপের প্রধান সমীর মহেন্দ্রেরকে গ্রেফতারের ৬০ দিন পূর্ণ হবে রবিবার। সেই কারণে ইডি সমীর মহেন্দ্রের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করতে পারে।

চার্জশিট দেবে ইডি
শনিবার ইডির আধিকারিকরা আদালতে জানিয়েছে, দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া সমস্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হবে। ইডির আধিকারিক বিশেষ বিচারক এম কে নাগপালকে জানিয়েছেন যে একটি প্রাথমিক চার্জশিটে প্রায় ৩,০০০ পৃষ্ঠা রয়েছে এবং আদালত ইডিকে রেজিস্ট্রিতে চার্জশিট দাখিল করতে বলেছে।

দিল্লির আবগারি নীতি বাস্তবায়নে দুর্নীতি
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন সরকার রাজধানীতে নয়া আবগারি নীতি পাস করে করোনা মহামারীর সময়। দিল্লি সরকারের দাবি ছিল, এই আবগারি নীতির মাধ্যমে সর্বোত্তম রাজস্ব তৈরি করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি দিল্লিতে শুল্কহীন মদ বিক্রি করা নির্মূল করতে এই নীতি উপযোগী। দিল্লি সরকার গত বছরের ১৭ নভেম্বর গ্রহণ করেছিল। এই আবগারি নীতি বাস্তবায়নে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। দিল্লির লেফটন্যান্ট গভর্নর এই দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। শুক্রবার সিবিআইয়ের পেশ করা চার্জশিটে মনীশ সিসোডিয়ার নাম নেই।

সিসোডিয়ার বাড়ি ও ব্যাঙ্কের লকারে তল্লাশি
দিল্লিতে আবগারি নীতি বাস্তবায়নে দুর্নীতির অভিযোগে মনীশ সিসোডিয়ার বাড়ি ১৪ ঘণ্টা তল্লাশি চালায় সিবিআই। পাশাপাশি মনীশ সিসোডিয়ার ব্যাঙ্কের লকারেও তল্লাশি চালায়। আপের তরফে বার বার অভিযোগ করা হয়, গুজরাত নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপি আপ সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে চাইছে। সেই কারণেই এই ধরনের অভিযোগ আপ মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে আনা হচ্ছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেন, এত তল্লাশি চালানোর পরেও সিবিআই দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোডিয়ার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ জোগাড় করতে পারেনি।

কেজরিওয়ালের বিস্ফোরক অভিযোগ
শনিবার আপের ১০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বলেন, মনীশ সিসোডিয়ার মামলাটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ব্যক্তিগতভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সিবিআই ও ইডি প্রধানদের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি মনীশ সিসোডিয়ার বিরুদ্ধে প্রমাণ খোঁজার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ইডি ও সিবিআই একত্রে প্রধান খোঁজার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়েছেন বলে কেজরিওয়াল দাবি করেছেন। তিনি বলেন, মদ নীতি বাস্তবায়নে দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যে সিবিআই অভিযোগপত্র দায়ের করেছেন। সেখানে কোথাও মনীশ সিসোডিয়ার উল্লেখ নেই। সিবিআই মনীশ সিসোডিয়াকে ক্লিনচিট দিয়েছেন বলে তিনি দাবি করেছেন। কেজরিওয়াল অভিযোগ করেন, প্রায় ৮০০ জন আধিকারিক মনীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত খোঁজার কাজে নিযুক্ত ছিলেন। পাল্টা তিনি জানিয়েছেন,মনীশ সিসোডিয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই যদি কোনও প্রমাণ খুঁজে পেত, তাহলে তাঁকে গ্রেফতার করা হতো।