হাথরাস কাণ্ডে আরও অস্বস্তিতে যোগী, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব পরিবার!
সিবিআইয়ের চার্জশিট ফাইল করা হয়েছে হাথরাস কাণ্ডে। তবে সেই চার্জশিট জমা পড়ার আগেও নির্যাতিতার পরিবার নিশ্চিত ছিল না যে তাঁদের মেয়ে বিচার পাবেন কিনা। কারণ প্রথম থেকেই যোদী আদিত্যনাথের পুলিশের দাবি ছিল যে হাথরাস কাণ্ডে ধর্ষণ হয়নি। এমনকি পরিবারের সদস্যদেরই সন্দেহের নজরে রাখা হয়েছিল।

সিবিআইয়ের চার্জশিট পেশের পর সরব হাথরাসের পরিবার
তবে সিবিআইয়ের চার্জশিট পেশ হতেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে নির্যাতিতার পরিবার। কারণ সিবিআই তাদের দাবি অনুসারেই চার্জশিটে লিখেছে যে, ধর্ষণ করেই খুন করা হয়েছে নির্যাতিতাকে। এরপরই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে হাথরাসের নির্যাতিতার পরিবার। এই বিষয়ে নির্যাতিতার দাদার বক্তব্য, 'আমরা জানতাম না সিবিআই আমাদের কথা বিশ্বাস করবে কিনা, তাই প্রথমে এই সব বলিনি।'

যোগীর পুলিশকে তোপ
এরপর যোগীর পুলিশকে তোপ দেগে বলেন, 'প্রথম থেকেই গ্রামের লোকেরা এমনকি জেলা শাসকও আমাদের বিরুদ্ধএ ছিলেন। তাঁরা আণাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যে আমরাই নাকি আমার বোনকে মেরে ফেলেছি। আমাদের অনেক লড়তে হয়েছে। এই চার্জশিট বিচারের পথে আমাদের প্রথম পদক্ষেপ। আমরা জেলা শাসকের ইস্তফা চাই। স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশ এই বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল, তা আজ প্রমাণিত।'

হাথরাসের ঘটনায় চার অভিযুক্তর বিরুদ্ধে চার্জশিট
শুক্রবার হাথরাসের ঘটনায় চার অভিযুক্তর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় সিবিআই। এছাড়া যুবতিকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে বলেও চার্জশিটে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে। তপশিলি ও উপজাতি (নির্যাতন প্রতিরোধ) আইনের আওতায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। দিল্লি থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে হাথরাসের একটি আদালতে আজ এই চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই।

ধর্ষণের পর খুনের অভিযোগ
১৪ সেপ্টেম্বর হাথরাসে ২০ বছরের দলিত যুবতিকে ধর্ষণের পর খুনের অভিযোগ ওঠে চারজনের বিরুদ্ধে। পরে দিল্লির একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এমনকী পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, ৩০ সেপ্টেম্বর নির্যাতিতার বাড়ির কাছেই তাঁর পরিবারের আপত্তি সত্ত্বেও তাঁর দেহ দাহ করা হয়। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ অবশ্য বলেছিল, পরিবারের ইচ্ছানুযায়ী দেহ দাহ করা হয়েছিল।

সিবিআই-এর তদন্ত পর্যবেক্ষণের নির্দেশ
অক্টোবরে এলাহাবাদ হাইকোর্টকে সিবিআই-এর তদন্ত পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। চলতি সপ্তাহের শুরুতে তদন্ত শেষ করতে আরও সময় চায় সিবিআই। এরপর বুধবার এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ ২৭ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানিয়ে দেয়।