চিন-নেপালের লোভ-দৃষ্টির তোয়াক্কা না করে উত্তরাখণ্ড সীমান্তে ভারতের ঝোড়ো পদক্ষেপ! কী ঘটছে এলাকায়
একদিকে চিনের লোলুপ দৃষ্টি রয়েছে লাদাখ থেকে অরুণাচল প্রদেশের দিকে, অন্যদিকে , উত্তরাখণ্ড সীমান্তে নেপাল চোখ রাঙাতে গিয়েছিল। এমন এক পরিস্থিতিতে দুটি দেশের আগ্রাসী মনোভাবকে কার্যত পাত্তা না দিয়ে ভারত ক্রমেই উত্তরাখণ্ড সীমান্তে শক্তি বাড়াচ্ছে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, উত্তরাখণ্ড সীমান্ত ঘিরে কী কী ঘটছে।
উত্তরাখণ্ডের গুরুত্ব ও চিন-নেপাল
উত্তরাখণ্ডের চামোলি ও উত্তরকাশি এলাকা চিন সীমান্তে। অন্যদিকে, উধম সিং নগর ও চম্পাওয়াত রয়এছে নেপাল সীমান্তে। উত্তরাখণ্ডের ২৭৫ কিলোমিটার সীমানা নেপালের পাশে, আর ৩৫০ কিলোমিটার সীমানার ওপারে রয়েছে চিন। এমন এক অবস্থানে থাকা উত্তরাখণ্ডকে শক্তিধর করে তুলতে চাইছে ভারত।
ভৌগলিক এলাকা ও চিন-নেপালের নজর
উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় এই মুহূর্তে চিন-নেপালের নজরে। এই এলাকা অত্যন্তগুরুত্বপূর্ণ। পাহাড়ে মোড়া এই অঞ্চলের সীমানাতে নেপাল ও চিন দুইই রয়েছে। এমন এক পরিস্থিতিতে উত্তরাখণ্ডে এবার ঘাঁটি গাড়ছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এবিষয়ে উত্তরাখণ্ড সরকারের সম্মতিও পেয়ে গিয়েছে তারা।
বসছে ব়্যাডার
উত্তরাখণ্ডের চামোলি, পিথোরাগড়, উত্তরকাশি এলাকায় বায়ুসেনা ব়্যাডার বসাতে শুরু করছে। সেখানের পাহাড়ি এলাকায় যাতে বায়ুসেনার বিমান নামতে পারে, তার জন্যও এয়ারবেসের জমি উত্তরাখণ্ড সরকার বায়ুসেনাকে দিয়ে দিয়েছে। আর এই সবই চিন ও নেপালকে নজরে রাখতে তৈরি করতে শুরু করেছে ভারতীয় সেনা। সেনা সূত্রের দাবি, সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে এই সীমান্তকে মজবুত করা প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে।
চিনুক উড়বে উত্তরাখণ্ডে!
বায়ুসেনার তাবড় চপার চিনুক। আর তা যাতে উত্তরাখণ্ডের আকাশে উড়ে নিরাপদ ল্যান্ডিং করতে পারে , তারজন্যও হেলিপ্যাডের প্রয়োজন। আর আপাতত কেদারনাথের হেলপ্যাড দিয়েই সেই কাজ চলবে। উল্লেখ্য, চিনুকের মতো যুদ্ধ উপকরণের জন্য অন্তত ৫ হাজার স্কোার মিটার এলাকা হেলিপ্যাড হিসাবে প্রয়োজন। যার জন্য আপাতত রুদ্রপ্রয়াগের কেদারনাথের হেলিপ্যাডকেই বেছে নেওয়া হয়েছে।
সংযোগ জোড়ালো হচ্ছে
উত্তরাখণ্ডে রীতিমতো জোরদার করা হচ্ছে পরিকাঠামো। ইতিমধ্যেই ৪৩৮ টি গ্রামকে 'ডার্ক ভিলেজ' হিসাবে চিহ্নিত করা গিয়েছে, যেখানে ইন্টারনেট বা চেলিকমের পরিষেবা অত্যন্ত খারাপ। এই গ্রামগুলি . চিন ও নেপাল সীমান্তে রয়েছে। ফলে এই এলাকায় টেলিকম পরিষেবার জন্য পরিকাঠামো গঠনের কাজ শুরু করে দিয়েছে সেনা। যা সীমান্ত সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়।
তৈরি হচ্ছে রাস্তা
উত্তরাখণ্ডের গঙ্গোত্রী ন্যাশনাল পার্কের ৭৩ একর জমি ইতিমধ্যেই রাস্তা নির্মাণের জন্য ব্যবহার হচ্ছে। সেখানে অরণ্যের মধ্যে দিয়ে এই রাস্তা নির্মাণ সীমান্ত সংঘাতের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। ফলে ধীরে ধীরে উত্তরাখণ্ডকে সাজিয়ে , নেপাল , চিনকে পাল্টা চোক রাঙাচ্ছে ভারতও।