বিজেপি সরলেও কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকার গড়ার পথে কোন কোন কাঁটা রয়ে গিয়েছে
এদিন সকলকে চমকে দিয়ে কর্ণাটকে আস্থা ভোটের আগে বক্তব্য রাখতে উঠে বিধানসভায় দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। এই জোটের সরকার গড়াও একেবারে নিশ্চিত নয়।
এদিন সকলকে চমকে দিয়ে কর্ণাটকে আস্থা ভোটের আগে বক্তব্য রাখতে উঠে বিধানসভায় দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। বিজেপি সবচেয়ে বড় দল হিসাবে ১০৪টি আসন পেলেও সরকার গড়তে পারেনি। ফলে সুযোগ চলে এসেছে বিরোধী দল কংগ্রেস-জেডিএসের কাঁধে।
এখন কংগ্রেস জেডিএস আহ্বান জানাবে যাতে রাজ্যপাল বাজুভাই বালা তাঁদের জোটকে সরকার গড়তে আহ্বান জানান। রাজ্যপাল সেই আহ্বান জানালেই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন জেডিএস নেতা এইচডি কুমারস্বামী। তারপরে একইভাবে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে কং-জেডিএস জোটকে।
এই জোটের সরকার গড়াও যে একেবারে নিশ্চিত না একেবারেই নয়। কংগ্রেস-জেডিএস দুই দলই নিজেদের বিধায়কদের ধরে রেখেছে। কংগ্রেসের ৭৮জন, জেডিএসের ৩৭ জন (৩৮ ছিল তবে কুমারস্বামী ২টি আসন থেকে জেতায় একটি কমবে), নির্দল বিধায়ক ও বসপা বিধায়ক একসঙ্গে রয়েছে। সবমিলিয়ে সংখ্যাটা ১১৭।
সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে প্রয়োজন ১১২টি ভোট। কংগ্রেস-জেডিএসের ৫টি ভোট বেশি রয়েছে। তা সত্ত্বেও আশঙ্কা করা হচ্ছে, যদি এই সময়ের মধ্যে বিজেপি বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরিয়ে ফেলতে পারে তাহলে সমস্যা একই ধরনের হতে চলেছে। আস্থা ভোট থেকে সরে এসে বিরোধীদের যেমন সরকার গঠনের সময় দেওয়া হয়েছে, তেমনই সময় বিজেপিও পেয়েছে।
মাঝের দুদিন কংগ্রেস-জেডিএস বিধায়কদের একত্র করে রাখতে পারলেও ফের বিজেপি থাবা বসিয়ে লিঙ্গায়েত বিধায়কদের নিজেদের দিকে টেনে নিলে খেলা ঘুরে যেতে পারে। ফলে এই দুদিন বিধায়কদের ধরে রাখাই নয়, আগামী কয়েকদিন সব বিধায়কদের একসঙ্গে জোটবদ্ধ রাখাই জোটের মূল কাজ হতে চলেছে। নাহলে বিএস ইয়েদুরাপ্পার দশাই হতে পারে কুমারস্বামীও।