এনআরসি-র পরে বাঙালিদের মধ্যে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা! সামনে এল চাঞ্চল্যকর পরিসংখ্যান
এনআরসির চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশিত হওয়ার পর নাগরিকত্ব হারানোর আতঙ্কে অনেকেই আত্মহত্যারা পথ বেছে নিচ্ছেন। সেই তালিকায় মুসলিমদের তুলনায় হিন্দু বাঙালির সংখ্যাই বেশি।
এনআরসির চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশিত হওয়ার পর নাগরিকত্ব হারানোর আতঙ্কে অনেকেই আত্মহত্যারা পথ বেছে নিচ্ছেন। সেই তালিকায় মুসলিমদের তুলনায় হিন্দু বাঙালির সংখ্যাই বেশি। এ জন্য দায়ী করা হচ্ছে অসম ও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে। অসমের নাগরিক অধিকার সমন্বয় সমিতি এ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
নাগরিক অধিকার সমন্বয় সমিতি এই আত্মহত্যার ঘটনাকে প্রকারান্তরে হত্যাকাণ্ড বলে আখ্যায়িত করেছে। প্রতিটি হত্যারই তদন্ত দাবি করেছেন নাগরিক কমিটির প্রধান তপোধীর ভট্টাচার্য। এর পাশাপাশি মানবাধিকার সংগঠনওগুলিও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছে। তারপর অসমে বাঙালি নিধন যজ্ঞ ও আবার বাঙালিদের ঘরবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় সরব নাগরিক অধিকার সমন্বয় সমিতি ও মানবাধিকার সংগঠনগুলি।
[আরও পড়ুন:'বাঙালি-র হিন্দু-মুসিলম কী, কবে জাগব আমরা', অসম গণহত্যায় গর্জে উঠলেন তপোধীর]
এনআরসির চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশিত হওয়ার পর গৃহহারা হওয়ার আশঙ্কায় ১৬ জন আত্মহত্যার পথ বেছে নেন অসমে। সিটিজেন্স রেজিস্টার অনুযায়ী এই সংখ্যায় মুসলিমদের তুলনায় হিন্দুর সংখ্যা তিনগুণ। বাঙালি হিন্দুরাও যে এনআরসির আতঙ্কে ভুগছে, তার বড় প্রমাণ আতঙ্কে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৬ জনের আত্মঘাতীর মধ্যে ১২ জনই হিন্দু, চার জন মুসলিম। ১৬ জনের মধ্যে অবাঙালি মাত্র তিনজন। তদন্তে প্রকাশ, তাঁদের মৃত্যুর কারণ এনআরসি।