ওবামার পর দুনিয়ায় সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ নরেন্দ্র মোদী, মালুম ফেসবুকে
প্রসঙ্গত, ফেসবুকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের 'পেজ' কতগুলি 'লাইক' পেয়েছে, তার নিরিখে বোঝা যায় জনপ্রিয়তা। সেই হিসাবে ফেসবুকে ৪,০৬,৯৯,৩২২ জন ভক্ত রয়েছে মার্কিন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামার। ওই 'পেজ' নিয়ে চর্চা করেছেন (টকিং অ্যাবাউট দিস) ৭০৪,৭৬৬ জন। আর নরেন্দ্র মোদীর ভক্ত হল ১,৫৩,৩৯,০১৩ জন। এই 'পেজ' নিয়ে চর্চা করেছেন ৪০,৪৯,৫৫৩ জন।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুসারে, গত ৭ এপ্রিল অর্থাৎ প্রথম দফার ভোটের সময় ফেসবুকে তাঁর গুণমুগ্ধের সংখ্যা ছিল ১,২০,৪৬,০০০ জন। তার পর গোটা ভোটপর্বে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে এই সংখ্যা।
তবে মোট সংখ্যার নিরিখে বারাক ওবামা এগিয়ে থাকলেও বৃদ্ধির হারে এগিয়ে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। ফেসবুকে তাঁর ভক্তদের সংখ্যা বাড়ছে ১.১৭১ শতাংশ হারে। আর বারাক ওবামার ক্ষেত্রে এটা হল ০.৩০৫ শতাংশ। এই হারে চলতে থাকলে অচিরেই বারাক ওবামাকে ছাড়িয়ে যেতে পারেন নরেন্দ্র মোদী।
ফেসবুকের তরফে অ্যান্ডি স্টোন সংবাদমাধ্যমকে জানান, ভারতের আর কোনও রাজনীতিবিদ জনপ্রিয়তার নিরিখে নরেন্দ্র মোদীর ধারেকাছে নেই। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ভক্ত হল ৫৪,৬৮,৯২১ জন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভক্ত হল ৭,৫২,৫৪৩ জন। শশী তরুরের ভক্ত হল ২১৮,৩১৯ জন।
নরেন্দ্র মোদী হলেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যিনি ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি যুগোপযোগী মাধ্যমগুলিতে দারুণ স্বচ্ছন্দ। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-ও এর ধারেকাছে ছিলেন না।
মজার ব্যাপার হল, কংগ্রেস বারবার নরেন্দ্র মোদীকে বিভিন্ন ইস্যুতে আক্রমণ করলেও একটুও টলাতে পারেনি তাঁর জনপ্রিয়তা। দেশের সীমা ছাড়িয়ে এখন বিদেশেও পৌঁছে গিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা। পাকিস্তান, চীন, জাপান, আমেরিকা ইত্যাদি দেশের প্রথম সারির সংবাদপত্রগুলিতে রোজই থাকছে নরেন্দ্র মোদীর খবর।