পাকিস্তানের থরহরিকম্প বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের পর থেকে! ধানোয়া তুলে ধরলেন 'প্রমাণ'
পাকিস্তানের আকাশসীমায় ঢুকে ভারতীয় বায়ুসেনা সাফল্যের সঙ্গে গুঁড়িয়ে এসেছিল বালাকোটের একের পর এক জঙ্গি শিবির। আর সেই ঘটনার এক বছরের পূর্তি আজ। চার দশকে ভারতে বায়ুসেনা যা করতে পারেনি, বালাকোটের এয়ারস্ট্রাইক তা করে দেখিয়েছে। আর সেই স্ট্রাইকের পর যে পাকিস্তানের থরহরিকম্প হয়েছে , তার প্রমাণ দিলেন প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান।

'বালাকোট এয়ারস্ট্রাইক একটা রাজনৈতিক ঝুঁকি ছিল..'
বালাকোটের মাটিতে ভারত যেখানে হামলা চালিয়েছিল, সেখানে পাকিস্তানের কোনও যুদ্ধবিমান ১৫০ কিলোমিটারের মধ্যে ছিলনা। এমনই সমস্ত তথ্য রেইকি করেই ভারতীয় বায়ুসেনা ২৬ ফেব্রুয়ারি সাফল্যের সঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয় পাকিস্তানি জঙ্গি শিবির। সেই ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান বি এস ধনোয়া বলেন, গোটা অভিযানটিই একটি বড়সড় রাজনৈতিক ঝুঁকি ছিল। আর ঝুঁকি এই কারণেই ছিল , যে যদি এই অভিযান বিফল হয় তাহলে তার রাজনৈতিক ফলাফল কী হবে? ?যদি ভারতীয় বিমানকে ওঁরা ধ্বংস করে তাহলেই বা কী ঘটতে পারে? এই সমস্ত কিছুর দায়িত্ব কি রাজনৈতিক আঙিনা নেবে?আর এমন সমস্ত প্রশ্নকে সামনে রেখেই সাফল্যের সঙ্গে এগিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা।

পাকিস্তানের যে থরহরিকম্প, তা কিভাবে বোঝা যাচ্ছে?
প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধানের দাবি, পাকিস্তান যে ভারতের বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের ঘটনায় রীতিমতো ভয় পেয়েছে, তার প্রমাণ হল, ভারতের লোকসভা নির্বাচনের নির্বিঘ্নে সম্পন্ন। তিনি বলেন,ভারতের লোকসভা নির্বাচন বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের পরই ঘটেছে। আর সেখানে যে চেষ্টা করেও দাঁত ফোটাতে পারেনি জঙ্গিরা , তার একমাত্র ইঙ্গিত এটাই, যে ভারতকে ভয় পেয়েছে পাকিস্তান।

হামলার আগে সেনার কাছে কোন তথ্য ছিল?
ধনোয়া এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন গোয়েন্দাসূত্রে ভারতের কাছে খবর ছিল যে বালাকোটে জইশের আঁতুর ঘরের প্রায় সমস্ত বিল্ডিংএই রয়েছে লোকজন। খবর ছিল যে পাকিস্তানের সমস্ত সেনা শিবির হাই অ্যালার্টে রয়েছে। ফলে অত্যন্ত সন্তর্পণে টার্গেটের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

৩ টি বিল্ডিং ছিল নিশানায়!
বিএস ধনোয়ার দাবি, পাকিস্তানের বালাকোটে যে হামলা ভারত চালিয়েছিল তার মূল উদ্দেশ্য ছিল ৩ টি বিল্ডিং । আর এই ৩ টি বিল্ডিংই ধূলিস্যাৎ করে দেয় সেনা। যার ফলে মনে করা হচ্ছে, পাকিস্তানের বালাকোটের জইশ শিবিরের বহু জঙ্গি একযোগে মারা গিয়েছে।