অসমে সিএএ- ক্ষোভের ছাইচাপা আগুন অব্যাহত! বিজেপিকে টক্কর দিতে রাজনৈতিক শিবিরে কার জন্ম
অসমে সিএএ- ক্ষোভের ছাইচাপা আগুন অব্যাহত! বিজেপিকে টক্কর দিতে রাজনৈতিক শিবিরে কার জন্ম
অসমে এখনও ধিক ধিক করে জ্বলছে সিএএ-র বিক্ষোভের আগুন। ক্রমেই তা ফের মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। এমন অবস্থায় উত্তরপূর্বের রাজনৈতিক আঙিনায় এক নতুন রাজনীতির শিবির নবজন্ম পাচ্ছে। এই রাজনৈতিক শিবির আসন্ন ভোটে কি বিজেপির জন্য় বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারবে? দেখে নেওয়া যাক।
অসমের রাজনীতি ও সিএএ
উত্তরপূর্বেই প্রথমবার সিএএ বিরোধী আইনের প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল। সেখানে ক্রমেই জমাট বাঁধতে থাকে বিক্ষোভের আগুন। আর সেই বিক্ষোভের আগুন উত্তরপূর্ব থেকে রাজধানী দিল্লিতে ছড়াতে থাকে। যে বিক্ষোভ গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে বড় চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড় করায়।
বিজেপির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ
অসমের রাজনীতিতে বিজেপি সরকারের আনা সিএএ কার্যত পরোক্ষে জন্ম দিচ্ছে বিজেপি বিরোধী এক বড়সড় শিবির। সিএএ বিরোধিতায় নেমে অসমের ছোট বড় একাধিক আঞ্চলিক দল জোট বাঁধা শুরু করেছে। যা বিজেপির জন্য অসমের মাটিতে অশনি সংকতে হতে পারে।
অসমের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোনদিকে
অসমের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এবার আঞ্চলিক গণমঞ্চ নামে একটি সংগঠন উঠে আসতে শুরু করেছে। অসমের নামী সাংবাদিক অজিত ভুইঞা প্রদ্যোৎ বোরা এই সংগঠনের বড় মুখ। উল্লেখ্য়, প্রদ্যোৎ বোরা বিজেপির আইটি সেলের প্রাক্তন সদস্য। আর এই পার্টিই আসন্ন বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে একহাত নিতে প্রস্তুত।
বিজেপি, কংগ্রেস ও অসমের রাজনীতির অঙ্ক
অসমের গণপরিষদ বর্তমানে বিজেপির ছাতার তলায়। ফলে সেভাবে দেখতে গেলে আঞ্চলিক দলের প্রতি যে আবেগ সাধারণ ভোটারের থাকে, তা গণ পরিষদের কাছ থেকে সিএএ-কে হাতিয়ার কের আঞ্চলিক গণপরিষদ নিজের ঘরে তুলতে ব্যস্ত। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনে দিসপুর ভোট দখল পাখির চোখ এই নতুন রাজনৈতিক শিবিরের।
এনআরসি, সিএএ ও আঞ্চলিক আবেগ
এনআরসি যে অসমে হবে , তা ভোট প্রচারের সময়েই লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি দাবি করেছিল। আর ভোট হতেই তা অসমে শুরু হয়। তবে সেই পদক্ষেপ যে অসমের মাটিতে বিজেপির জন্য বুমেরাং হতে পারে, তা অসমের বিজেপির থিঙ্কট্যাঙ্ক বুঝতে পারেনি। যার ফল হিসাবে রাজনৈতিক ভাবে অসমে অস্বস্তিতে পড়ে যায় শাহ শিবির। আর তার সুযোগে এবার অসম দখলে বিজেপির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ আঞ্চলিক শক্তি।
রাজ্যে অভিযোগের ৯৩ শতাংশের সমাধান করেছে সরকার! 'উপান্ন' উদ্বোধনে গিয়ে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর