বাংলার অবস্থা দেখলে মানুষের বুক কেঁপে উঠবে! রাজ্যপালের মন্তব্যে বাংলার মানুষ অপমানিত, বলছে তৃণমূল
রাজ্যের সন্ত্রাস নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আর এই উদ্বেগ থেকে ফের একবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক সারলেন তিনি। আজ শনিবার প্রায় ঘন্টাখানেক শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল ধনখড়। জানা গিয়েছে,
রাজ্যের সন্ত্রাস নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আর এই উদ্বেগ থেকে ফের একবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক সারলেন তিনি। আজ শনিবার প্রায় ঘন্টাখানেক শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল ধনখড়। জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে রাজ্যের সন্ত্রাস ইস্যুই ফের একবার আলোচ্য বিষয় হয়েছে। রাজ্যের বর্তমান অবস্থা নিয়ে শাহ তাঁর কাছে খোঁজ নেন বলে জানা গিয়েছে।
তবে প্রথম থেকে রাজ্যপালের দিল্লি সফর নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাতে চাননা মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, উনি ওদের লোক। দিল্লিতে যার সঙ্গে খুশি দেখা করতে পারেন।
সংবিধানের সঙ্গে আপোষ করতে পারি না
শনিবার প্রায় ঘন্টাখানেক এই বৈঠক চলে। এই বৈঠক শেষে রাজ্যপাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ধনখড়। সেখানে তিনি বলেন, 'রাজ্যের কাজ হল আইন- শৃঙ্খলা মজবুত করা। গণতন্ত্র কিংবা সংবিধানের সঙ্গে কখনই আপোষ করা যায় না। আইনকে গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ বলেও মন্তব্য করেন ধনখড়। তাঁর দাবি, ভোট পরবর্তী যে হিংসার ছবি সামনে এসেছে তা কখনই মুখে বলা যাবে না। এমনকি বাংলায় এখন যে ছবি দেখা যাচ্ছে তা স্বাধীনতার পরেও এতদিন দেখা যায়নি বলে তোপ দাগেন রাজ্যপাল ধনখড়। তিনি বলেন, বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। ভয়ঙ্কর কষ্টের মধ্যে রয়েছে বাংলার মানুষ। আতংকে অনেকেই তাঁদের অবস্থা খুলে বলতে পারছেন না। এই অবস্থা দেখলে যে কোনও মানুষের বুক কেঁপে উঠবে বলে দাবি ধনখড়ের।
মন্তব্যকে তীব্র বিরোধীতা
রাজ্যপালের এহেন মন্তব্যকে তীব্র বিরোধীতা করা হয়েছে শাসকদল তৃণমূলের তরফে। সুখেন্দু শেখর রায় এই প্রসঙ্গে বলেন, এই মুহূর্তে বাংলায় অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই রাজ্যপাল এমন কথা বলছেন বলেও তোপ দাগেন তৃণমূলের এই সাংসদ। তিনি বলেণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার প্রতিষ্ঠ হওয়ার পর কড়া হাতে আইন সামলাচ্ছেন। কোথাও একটা অশান্তির খবর নেই। মিথ্যা অভিযোগ এনে রাজ্যের মানুষকে তিনি অপমান করছেন বলে রাজ্যপালকে কার্যত তুলোধনা করেন সুখেন্দুবাবু।
পালটা তোপ দিলীপের
রাজ্যপাল একজন সাংবাধনিক পোস্ট। বারবার তাঁকে অপমান করা হচ্ছে। গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেকদিন রাজ্যে বিজেপি নেতা-করমিরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এই বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে বলেও কোনও কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ দিলীপ ঘোষের। আর তাই রাজ্যপালের কাছে যাচ্ছেন তাঁরা। উনি কোথায় কি বলবেন তাঁর ব্যাপার। তবে নিশ্চয় ওনার অধিকার আছে কিছু বলার।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ
অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার আগে এর আগে রাজ্যপাল দেখা করেছেন রাজ্যপাল। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে প্রায় ঘন্টাখানেক বৈঠক করেছেন ধনখড়। সেখানেও ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে নালিশ জানিয়েছেন তিনি এমনই জানা গিয়েছে। দিল্লি যাওয়ার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি কড়াচিঠিতে লিখেিছলেন, স্বাধীনতার পরে এমন পরিস্থিতি কখনও তৈরি হয়নি। রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা নেই। মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। রাষ্ট্রপতিকে কার্যত এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট রাজ্যপাল তুলে দিয়েছেন বলে খবর।