থারুরের বিরুদ্ধে সুনন্দা পুষ্করের ময়না রিপোর্ট প্রভাবিত করার অভিযোগ এইমস চিকিৎসকের, রিপোর্ট তলব
টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত একটি খবর অনুয়ায়ী, ডাঃ সুধীর গুপ্তা এই বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতর ও ভিজিল্যান্স কমিশনের কাছে চিঠি লিখে জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সুনন্দা পুষ্করের 'স্বাভাবিক মৃত্যু' দেখানোর জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। আর এই চাপ এসেছিল উচ্চপদে আসীন আধিকারিকদের কাছ থেকে।(আরও পড়ুন)
সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, ডাঃ গুপ্তা জানিয়েছেন ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবনের কারণে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু বলা হয়েছে, যা আত্মঘাতী বা নরঘাতী হতে পারে পারে। এর পর থেকেই তাঁকে নিশানা করা হয়েছে। ক্রমশ চাপ বাড়ছে তাঁর উপর। এই চাপ তিনি আর সহ্য করতে পারছেন না। (আরও পড়ুন)
এইমস-এর অধিকর্তার কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন
জি নিউজে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ডাঃ গুপ্তার দাবী, ময়ানাতদন্তের রিপোর্টে শশী থারুর ও গুলাম নবি আজাদের প্রভাবেই আমাকে সত্যিটা বলতে বাধা দেওয়া হচ্ছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্টকে প্রভাবিত করার চেষ্টা হয়েছিল এই অভিযোগ প্রমাণ করতে তাঁর ও শশী থারুরের মধ্যে যে সব ই-মেল চালাচালি হয়েছিল তারও বিস্তারিত রিপোর্টও জমা দিয়েছেন ফরেন্সিক প্রধান। যদিও তাঁর রিপোর্টে সততা এবং নৈতিক অবস্থান স্পষ্ট হওয়ায় ষড়যন্ত্রকারীদের কুনজরে পড়েছেন তিনি বলে ডাঃ গুপ্তর দাবি। (আরও পড়ুন)
তাহলে একথা আগে কেন জানাননি ডাঃ গুপ্ত, প্রশ্ন উঠছে সেই জায়গাতে। নিজের লেখা অভিযোগ পত্রে সেবিষয়ে ডাঃ গুপ্ত লিখেছেন, এইমস-এর প্রাক্তন সভাপতি তথা তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ ও সুনন্দা পুষ্করের স্বামী যিনিও একজন শক্তিশালী নেতা তাঁদের বিরুদ্ধে খোলাখুলি এই ঘটনা স্থাপন করার সাহস জড় করতে পারেননি তিনি, কিন্তু চাপ ক্রমশ বাড়ায় আর কোনও গতি না দেখে এই পদক্ষেপ। (আরও পড়ুন)
এদিকে এই অভিযোগ তোলার ২৪ ঘন্টার মধ্যে বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন এই বিষয়ে এইমস-এর অধিকর্তা ডাঃ এমসি মিশ্রর কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন।(আরও পড়ুন)
উল্লেখ্য ১৬ জানুয়ারি লীলা প্যালেসের ৩৪৫ নম্বর স্যুট থেকে সুনন্দার দেহ উদ্ধার হয়। এর আগের দিন রাতে স্বামী শশী থারুরের সঙ্গে ওই হোটেলে ওঠেছিলেন সুনন্দা। মৃত্য়ুর কয়েকদিন আগে কিছুদিন আগে পাক সাংবাদিকের সঙ্গে শশী থারুরের সম্পর্ক নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন সুনন্দা। এমনকী তার জন্য বিবাহ বিচ্ছেদের কথাও জানিয়েছিলেন। (আরও পড়ুন)