১৯ বছর পর পুলিশের হাতে পাকড়াও গোধরা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত, এখনও পলাতক ৩
কেটে গিয়েছে ১৯ বছরেরও বেশি সময়। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল গোধরা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত রফিক হোসেন ভাটুক। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রবিবার রাতেই গোধরা পুলিশের একটা দল সিগন্যাল ফালিয়া এলাকায় একটি বাড়িতে হানা দেয়। সেখান থেকেই আটক করা হয় রফিককে।

১৯ বছর পর পুলিশি অভিযানে এল সাফল্য
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯ বছর আগে ২০০২-এর ২৭ ফেব্রুয়ারি গুজরাতের পাঁচমহল জেলার গোধরা স্টেশনে সবরমতী এক্সপ্রসে আগুন লাগিয়ে দেয় একদল দুষ্কৃতী। যার জেরে ৫৯ জন করসেবক অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। অভিযোগ এই দুষ্কৃতি দলেরই মূল পান্ডা ছিল রফিক।পাঁচমহলের পুলিশ সুপার লীনা পাটিল এ কথা জানিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।

কী কী অভিযোগ আনছে পুলিশ ?
পাটিল আরও জানিয়েছেন, রফিক ভাটুকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র তৈরি, জনতাতে উস্কানি ও ট্রেনের কোচ জ্বালানোর জন্যে কেরোসিনের বন্দোবস্ত করার মতো অভিযোগ রয়েছে। এদিকে ঘটনার তদন্ত চলাকালে শুরুতেই ভাটুকের নাম সামনে আসে। কিন্তু সেই সময় দিল্লি পালিয়ে যায়। তারপর থেকে একাধিক পুলিশি অভিযানেও বিশেষ সাফল্য আসেনি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন সময় গা ঢাকা দিয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছে রফিক।

দিল্লিতেই শ্রমিক কাজ করত রফিক
এদিকে রফিকের গ্রেফতারিতে তীব্র চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে দেশের রাজ্য-রাজনীতিতে। সূত্রের খবর, পালিয়ে যাওয়ার পর দিল্লি রেল স্টেশন ও নির্মাণ স্থলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করত সে। ঠেলাতে করে জিনিসপত্রও বিক্রি করত বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি জানা গিয়েছিল, ভাটুক তার বাড়ি বদলেছে। বেশ কয়েকবারই তাকে ধরার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু এই প্রথম সাফল্য এল পুলিশি অভিযানে।

এখনও পলাতক ৩ অভিযুক্ত
এদিকে রফিককে ধরলেও আরও তিন মূল অভিযুক্ত এখনও পলাতক রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তিন অভিযুক্ত সেলিম ইব্রাহিম বাদম ওরফে পানওয়ালা, শৌকত চরখা ও আব্দুলমজিদ ইউসুফ মিথা এখনও ফেরার। ওই তিনজনই পাকিস্তানে পালিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। তাগের বিরুদ্ধেও খুন-দাঙ্গা সহ একাধিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
প্রতীকী ছবি
এবার সটান দুর্গাপুর থেকেই উড়ে যাওয়া যাবে দিল্লি, বেঙ্গালুরু, উড়ান শুরু করছে ইন্ডিগো