৭১৫ দিন পর ১০০০ এর নীচে নামল ভারতের দৈনিক করোনা সংক্রমণ
৭১৫ দিন পর ১০০০ এর নীচে নামল ভারতের দৈনিক করোনা সংক্রমণ
২০২০ সালের প্রথম দিকেই দেশে হানা দিয়েছিল করোনা৷ তারপর সময়ে সময়ে সার দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে৷ ২০২১-২২ এ করোনার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়েভে একটা সময় দৈনিক করোনা সংক্রমণ চারলক্ষে পৌঁছেছিল ভারত৷ একই সঙ্গেই দৈনিক করোনা মৃত্যুও চার অঙ্কের সংখ্যায় পৌঁছেছিল৷ সেখান থেকে ৭১৫ দিন পর আবার কিছুটা স্বস্তি। দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণ নেমে এসেছে ১০০০ এর নীচে৷ শেষ ২৪ ঘন্টায় সারদ দেশে ৯১৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷ একই সঙ্গে শেষ ২৪ ঘন্টায় সারা দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ১৩ জন।
সোমবার (৪ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে, দেশ গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১,৩১৬ জন রোগী করোনা থেকে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন৷ দেশে মোট করোনা সুস্থতার হার প্রায় ৯৮.৭৬ শতাংশ, এবং মোট সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যা ২৪৯৫০৮৯ এ পৌঁছেছে৷ সোমবার ভারতে করোনার এর মোট সক্রিয় কেসের সংখ্যা মাত্র ১২৫৯৭ জন, যা গতকালের চেয়েও ০.০৩ শতাংশ কমেছে আজ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্যে দেখা গিয়েছে দেশে মোট করোনা মৃতের সংখ্যা ৫,২১,৩৫৮ জন৷
দেশের ২৬ কোটি পরিবারের ওপর থেকে ১ লক্ষ টাকা করে তেল কর আদায়! মোদী সরকারকে নিশানা চিদাম্বরমের
প্রসঙ্গত ভারতে কোভিড মহামারীর কারণে প্রথম মৃত্যু ২০২০ সালের মার্চ মাসে রিপোর্ট করা হয়েছিল। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ আইসিএমআর তথ্য অনুসারে, ৩ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে ৭৯১০৭৯৭০৬ টি করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে রবিবার ৩১৪৮২৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
যেখানে দেশে করোনার সংখ্যা কমছে এবং তৃতীয় ওয়েভ সামাল দিয়ে করোনা বিধিনিষেধ থেকে বেরিয়ে আসছে ভারত সেখানেই আাবর নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, চিন, ইংল্যান্ডে৷ শেষ ২৪ ঘন্টায় চিনে ১৩ হাজার ১৪৬ জন নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। যা শেষ দু'বছরে চিনে সবচেয়ে বেশি দৈনিক সংক্রমণের রেকর্ড৷ একইভাবে ইংল্যান্ডে নতুন করে করোনাতে হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যু দুটোই বাড়ছে৷ দক্ষিণ কোরিয়াতে শেষ ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছে, ২ লক্ষ ৬৪ হাজার জন৷